ঠমক হয়ে যাচ্ছে দিন-দিন চেনা সব
নদীর বুকে জল ঠমক
পাখনা খোলা পাখিরা ঠমক
আমার চোখে সূর্য ঠমক!
জানো নন্দিনী—
সেদিন প্রথম যখন তোমায় দেখেছি
সবকিছু সচল ছিল।
নদীর জলধারা থেমে চলতো না,
পাখনা খোলা উড়ন্ত পাখিদের থামানো যেতো না,
সূর্যের নিখোঁজ; আবিষ্কার হতো না।
আর এখন সব ঠাই থমকে রয়েছে
যেন কোন চেনা শরীর আত্মা বিহীন,
অথবা বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে ইলেক্ট্রিসিটি—
নিষ্ক্রিয় হয়েছে যেন।
জানতে চাইবে না কেন এতো শূন্যতা?
অনুভবে খুঁজে-খুঁজে এখন শূন্যতা পাই শুধু!
সেই সমাগম আর নেই।
অচেনা দু'হাতের স্পর্শ শূন্য,
চেনা পথগুলো তুমি বিহীন শূন্য,
আমিও সেইসব চিরসুখী মানুষ গুলোর মতো,
স্বচক্ষে সবাই হয়ত দেখে আমি চলি,
আমি অন্যভাবে সুখী আছি,
অচেনা সঙ্গী নিয়ে তোমায় ভুলে গেছি,
কিন্তু সবকিছু লোক দেখানো মাত্র!
আর কেউ না জানুক আমি জানি নন্দিনী।
আমাদের তো আত্মার মিলন,
পবিত্র দুই খণ্ডিত বস্তু
যা এখানে পৃথিবীতে মানুষ মাত্র পরিচয় পেয়েছি,
আমাদের কি আলাদা করা যাবে বলো?।
নন্দিনী; আমি উপরে বেশ সুখী আছি,
ভিতর না হয় দহনে ছারখার হয়ে যাক!
তবু কামনা থাকবে সচল।
শুধু প্রকৃতি কেন, পৃথিবী জুড়েও যদি ঠমক বয়ে যায়
আমি কিন্তু থেমে থেমে চলবো না।
এতক্ষণ যা বললাম, জানি তুমি কিছু বোঝো নি!
কারণ তুমি তো প্রেম মানেই বুঝে উঠো নি!
কামনার অর্থ কখনো খুঁজে দেখো নি!
এখনো সময় আমাদের সাথে,
এখনো ফিরে আসতে পারো,
এখনো ভালোবাসতে পারো,
আমি না হয় অচেনা সব চিনিয়ে দেবো!
নন্দিনী তোমার প্রিয় কাব্য ভাষায় বুঝে নাও,
"ওভাবে ভালোবেসো না,
আবীর রঙের নামকরণে
ধূলি মাখিয়ে মোরে—
ওগো, তুমি প্রতিশোধে যেন হেসো না।
ওভাবে ভালোবেসো না।"