১.
''লালফিতার পানি চুক্তি..''
সমস্ত সরল সময়ের রঙ দিয়ে সাজানো জীবনের গল্প যদি গিলে খায় চাঁদহীন অমাবস্যা
পূর্ণিমার জোৎস্নারা তখন ঠাঁই নেয় হারানো দিনের গল্পে
যেমন করে দুঃখীনি তিস্তার জল ঠাঁই নিয়েছে লাল ফিতার চুক্তিতে!
নদী গভীরের শীতল নরোম মাটিকে এখন অনায়াসে চুম্বন করে
চৈতালি সূ
যেন নববঁধুর লজ্জাহরণ
কারো দুঃখে তৃষ্ণা মিটে ওপাড়ের,
এপাড় হতে ছেড়ে দেয়া দীর্ঘশ্বাসে
দুঃখীনির দুঃখ বাড়ে দৈর্ঘে প্রস্থে
সুখির বাড়ে সুখ
যখন কলমের কালিতে হয় পানিচুক্তি মিথ্যা আশ্বাসে
যুগে যুগে তখন তৃষ্ণার মিছিল থামে তিস্তার শুকনো বুকে!
২.
''ঘোলাজল''
শব্দেরা কেঁদে ওঠে বুকফাটা আর্তনাদে
বিবেকের দরজায় তালা মেরে
চাবি নিয়ে নির্ভয়ে ঘুরে পাড়ার
দালাল!
চোখ থাকতে যারা খুঁজে পায়না আপন
ঠিকানা
তাদের দৃষ্টিসীমায় কেবল ভর
করে সীমাহীন শূণ্যতা..
যে আস্থার ভেতর
দিয়ে হেঁটে গেছে সোনালি পথিক
আজ সে ভিখেরীর
বেসে বসে থাকে দুঃখিনীর বাড়ান্দায়
হিসেব মিলেনা জীবনযুদ্ধের!
সাদা কাগজের পূবদিক চেয়ে থাকে
পশ্চিমের বৃদ্ধ সূর্য্যরে
দিকে নিরবে নিঃশব্দে
আর উন্মুক্ত কলম
শুয়ে পরে কাঁটাতারের বিছানায়
ক্লান্তদেহে..
৩.
''বৈরাগ্য ''
যেদিন চৈত্রের রোদে শুকাতে দিয়েছিলাম
আবহমানকালের ভেজা নকশিকাঁথা
সেদিনও তোমাদের চোখে দেখেছি
ক্রান্তিকালের কালো বৃষ্টি
বছরের কঁচিলগ্নে কেমন করে
বাঙালি সেঁজে ওঠার ধুমে
বুঁদ হয়ে আসে পান্তা ইলিশ
সাড়াবছর নীশিকন্যার প্রহরার
রমনার বটমূল তার ছবি আঁকে শুকনো ডালের বাঁকলে!
ক্লান্তিতে ভর করে আসে
চিরচেনা বৈশাখ
আয়েশি রঙিন করে
আবার চলে যায়
বৈরাগ্যের বেশে.....
একদিনের কর্মসূচি সেরে!!
অচেনার মত অনন্তের দেশে....!
৪.
তালপাখা
-------
হৃদয়ের গভীরে গিয়ে ঢোকেনা আর
শীতল নরোম বাতাস
চৈত্রের রোদে ভালোবাসা উত্তপ্ত হতে হতে
বিরান হয়ে গেছে পুকুর
কোনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা একপায়ী তালগাছ
মিষ্টি বাতাসগুলো কৃত্রিম হয়ে
গাঁয়ের মেঠোপথ ছেড়ে
পিচডালা রাজপথের কোল ঘেঁষে
মিশে যায় মরা বুড়িগঙ্গায়
ক্লান্তির ঘাম ফোঁটা ফোঁটা হয়ে ঝরে যায় অনায়াসে কাঁচামাটিতে
নঁয়া বঁধুর হাতে তবু উঠেনা তালপাখার শীতল বাতাস..!
-----
10-04-14. 02:45pm