জয় গোস্বামী

Joy Goswami

জয় গোস্বামী
জন্ম তারিখ ১০ নভেম্বর ১৯৫৪
জন্মস্থান কলকাতা, ভারত
বর্তমান নিবাস জানা নেই

জয় গোস্বামী (Joy Goswami) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙ্গালী কবি। ভারতীয় পশ্চিম বাংলার এই কবি বাংলা ভাষার উত্তর-জীবনানন্দ পর্বের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসাবে পরিগণিত। তার কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। জয় গোস্বামীর জন্ম ১০ নভেম্বর ১৯৫৪ তারিখে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কলকাতা শহরে। ছোটবেলায় তার পরিবার রানাঘাটে চলে আসে। তখন থেকেই তার স্থায়ী নিবাস সেখানে। তার পিতার নাম মধুসূদন গোস্বামী ও মাতার নাম সবিতা গোস্বামী। জয় গোস্বামীর প্রথাগত লেখা পড়ার পরিসমাপ্তি ঘটে একাদশ শ্রেণীতে থাকার সময়। সত্তরের দশকে তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন। সাময়িকী ও সাহিত্য পত্রিকায় তিনি কবিতা লিখতেন। এভাবে অনেক দিন কাটার পর দেশ পত্রিকায় তার কবিতা ছাপা হয়। এর পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পরে তার প্রথম কাব্য সংকলন ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'ঘুমিয়েছো ঝাউপাতা?' কাব্যগ্রন্থের জন্য আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে তিনি পাগলী তোমার সঙ্গে কাব্য সংকলনের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি জয় গোস্বামী ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গবিভূষণ সম্মান লাভ করেন। জয় গোস্বামী -এর প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থের সংখ্যা ৩৪ টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - ঘুমিয়েছো ঝাউপাতা? (১৯৮৯), পাগলী তোমার সঙ্গে (১৯৯৪), যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল (১৯৯৮), পাতার পোশাক (১৯৯৭) ইত্যাদি। এছাড়াও জয় গোস্বামী-এর প্রকাশিত উপন্যাস ও অন্যান্য গ্রন্থের সংখ্যা ২২ টি। এর মধ্যে কাব্যোপন্যাস যারা বৃষ্টিতে ভিজে ছিল(১৯৯৮), মনোরমা(১৯৯৪), সেইসব শিয়ালেরা (১৯৯৪), সুরঙ্গ ও প্রতিরক্ষা (১৯৯৫) ইত্যাদি।


এখানে জয় গোস্বামী-এর ৯৪টি কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
নুন
প্রেমিক
অপেক্ষা
হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে
আমরা তো অল্পে খুশি
প্রাক্তন
উপহার
পাগলী, তোমার সঙ্গে…(পাঁচালি:দম্পতিকথা)
একটি বৃষ্টির সন্ধ্যা
আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো
অভিসার
এসেছিলে, তবু আসো নাই
অথৈ
কে বেশি কে কম
তোমাকে জলের মতো
জানি যে আমাকে তুমি
এরকমও হয়?
টিউটোরিয়াল
তুমি আর তোমার ক্যাডার
মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়
১০ নভেম্বর
আচমকা
ক্ষণস্থায়ী
কীভাবে এলাম এই শহরে
অবসরের গান : জীবনানন্দকে
আমরা পথিক
কলঙ্ক, আমি কাজলের
অঙ্গার
স্পর্শ
অজাতক
জলহাওয়ার লেখা
নিজের মুখ
সৎকার গাথা
প্রণয়গীতি
C.C.D
খোঁজ
প্রত্যেকটা মাধুর্যের দিন
বিচ্ছেদের পর
ফুটকড়াই
হাসি, হাসিগুলি, হাসিদের
পাখিটি আমাকে ডেকে
সোজা কথা
বিবাহিতাকে
কবিকন্যা
বিবাহের আগে শেষ দেখা
বিবাহের আগে শেষ দেখা
ছাই
তৃতীয়জন
দাহ
আমার মায়ের নাম বাঁকাশশী
ঝাউ গাছের পাতা
বাংলার গা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
পরামর্শ
বোকা
আমলকীতলার গন্ধে সার বিষণ্ণতা
আজ কী নিশ্চিত কী বিদ্যুৎ কী হরিণ এই দৌড়
কোনখানে
বৃষ্টি ভেজা বাংলা ভাষা
ক্রীসমাস
খারিজ
স্তুপের তলায় রাখো ঘাসলতাপাতা
হে অশ্ব, তোমার মুণ্ড
শাসকের প্রতি
ঢেউগুচ্ছ
স্নান
তুষানল
স্বেচ্ছা
সে সব মাঠের নাম
সেই কবিতাটা
ঢেউগুচ্ছ
বোঝা
মরা ডাল
'রইব কত আর'
শেষ
হিংসার উপরে কালো ঘাস
হৃদপিণ্ড–এক ঢিবি মাটি
ভরত মণ্ডলের মা
ভস্ম
মা এসে দাঁড়ায়
শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি যখন সোনালী পাগলিনী
ভাঙা ঘট
স্নান করে উঠে কতক্ষণ
সমুদ্রে পা ডুবিয়ে ছপছপ
সমুদ্র তো বুড়ো হয়েছেন
স্বপ্নে মরা ময়ূর
সিদ্ধি, জবাকুসুম সংকাশ
ভূপৃষ্ঠের ধাতব মলাটে
শিরচ্ছেদ, এখানে, বিষয়
মার? সে তো জানলার ওপারে এসে বসে
মাঠে বসে আছে জরদ্‌গব
সমুদ্র? না প্রাচীন ময়াল?
রাস্তায় পড়েছে ব্রিজ–জল নেই–বালি
রেণু মা, আমার ঘরে তক্ষক ঢুকেছে
শবগাছ, হাত-মেলা মানুষ