চলো তোমার জন্য


দেখো‌ !
ওই যে কুসুম বনের ক্লান্ত ডালে,
ফুটেছে ফুলের কোলি ।

বইছে বাতাস নিজের ছলে ,
দিচ্ছে দক্ষিণে পাড়ি ।।

তোর জন্য দেবো তুলে ,
হাজার দশকের কুড়ি ।
খোপাই তোর দেবো গেঁথে ;
নাখে  নোলোক দড়ি ।

দেখো !
ওই যে শিশির ভেজা ধানের মাঠে,
পুষ্প রেনু খেলা করে।

দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে,
অন্যের গায়ে হেলে পড়ে।।

"তোর জন্য  "চুড়ি,
দেব ধানের ফুলের ।।
দুহাতে ধানের রেনু,
ঝরবে হাসে খেলে।


দেখো!
ওই যে পুকুর পানে;
নীল-সাদা পদ্ম টলে মলে।
ওই পাতায় জলের ফোটা,
পড়ছে হেলে- দুলে ।।

তোর জন্য দেবো পরনে ,
কমল ফুলের পাঁপড়ি ।
তোর সৌন্দর্যের ,
মাধুর্যের নত আজ ঊর্বশী।।

দেখো !
ওই যে জবা গাছের অগ্রভাগে ,
ফুটেছে চাপা ডালি।

তোর জন্য ,নিলাম ছিড়ে
হলো রক্ত আলতা শাড়ি ।

রাঙা ধানে শুকনো পাতায়, আকাশে নাহি ধরে
বিদ্যুৎ আলোয় লুকিয়ে, রাখে সে মনের অন্ধঘরে ।