প্রানের তরঙ্গ জানে পরান,জ্ঞাত বিশ্ব একুশ জুড়ে বাতাস বয়ে যায় রক্ত ঘ্রানে,
ভেসে চলা ফাগুন-ভোরে।প্রভাত ফেরি প্রভাত ফেরি সালাম রফিক দিলো
আড়ি,নয়’সে আড়ি খেলারছলে,আড়ি সে যে মায়ের মুখে মায়ের ভাষা রাখবে
বলে ফুলের বেশে,রক্ত-রাঙা ফেব্রুয়ারী মনের মাঝে দিয়ে যায় শব্দ-সারি।
কেমন করে ভাইটি আমার,দিলো আড়ি,ভুলতে কি’তা আমি পারি ?
গাছের পাতাগুলো আজ কেনো অনাথ, বলতে পারো ? কেনোই বা পাতাগুলো
বসন্ত ছোয়ায় পতিত হচ্ছে,উত্তর আছে কি? নতুন পাতা গজাবে, তাই তো!
বায়ান্নোতে ভাষার মিছিলে ঝরেছে কত ভাইয়ের রক্ত, আর সেই রক্ত বসন্ত
হয়ে জাগিয়ে দিয়েছে আমাদের আত্বসত্বার রূপমালায় ছন্দমালার-তারাগুলোকে।
জাগরণ ব্যতীত আঁধারের প্রান্ত পেরিয়ে সূর্যের ছোয়া পাওয়াটা হয়নি কখনো!
তার প্রমাণই’তো একুশে ফেব্রুয়ারী,মায়ের ভাষায় আজ হচ্ছে রূপ-ছন্দের
কতোই না ছড়াছড়ি।
আকশের মেঘগুলো যেমন শুন্যে বিচরণ করে মহাপৃথিবীর অন্তজুড়ে,তেমন করে একুশ এলেই
সারা বিশ্ব মায়ের কুলে সালাম,রফিক,বরকত,জব্বারের ডাকে গর্জে উঠে বিশ্ব মায়ের
হাজার হাজার বীর-সন্তানেরা, নবযুগে ধাবিত হওয়া ভোরের সূর্যদয়ের আলোর-মেলায়।
কে দিয়েছে প্রান,ভাষার তরে,মায়ের ভাষা ধরে রাখার প্রত্যয়ে জেগে উঠা রাজপথে,
বুলেটের ছত্রনাশে বিলিয়ে দিয়েছে প্রান,কে আছে আর,পৃথিবীর বুকে,
বলতে পারো কেউ ?
বলতে গেলে যে, ফেব্রুয়ারীকেই খুঁজে নিতে হবে,আর
একুশের প্রানেই মায়ের ভাষায় সুঘ্রান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিশ্বজুড়ে,
হৃদয়জুড়ে,মনজুড়ে কিভাবে থাকবো ভুলে ,বলো ?
আমি যে মায়ের ভাষায় স্বপ্ন দেখি,দেখি কবিতা বুননের স্বপ্ন,ছন্দ খুঁজে বেড়াই আমার
মায়ের ভাষায়, আমার রক্ত-প্রানে শুধুই যে বাংলা বর্ণমালার চলাফেরা।পাখির সুরে কোকিল গানে,ফুলের ঘ্রানে রাখালের বাঁশির সুরের সুরময়ীতায় আর রবীন্দ্র-নজরুলের সুরে সুরে
আমি ভেসে চলি একুশের পাতায় পাতায়,আর সে চলার জাগরণে প্রান দিলো যারা
তাদের আত্বায় বেহেশ্তের ফুল ফোঁটে উঠুক,আমার কবিতায় বাংলা ভাষার বাতাস ছুয়ে যাক।
আজ এই ফাগুন বসন্তে, প্রভাত-ফেরি শহীদ-মিনারে, ফুল-ফুলের দুরন্ত চেতনায়।