কতটা পথ পেড়িয়ে এলাম তোমায় ভুলে-
মনের কোনে অহংকারে পরকে নিয়ে মাতি;
তবু একুল ওকুল ছাপিয়ে দেখি স্বপ্ন ভাসে তুমি হয়ে !
ও মেয়ে দলামলা -
তুই মেয়ে আমার লক্ষ্মীর ছাপ তুলসীতলায়,
তুই আমার পিদিম জ্বালা সাঁঝ..
বারোমাসের খেরোর খাতায় তুমি
করে চল কাজ-ভোলাবার কাজ।
তুমি আমার মনের শুষ্ক কোনে
হঠাত করেই মায়ের গন্ধ আনো !
ও মেয়ে জোয়ারভাঁটায়
কবিতা হয়ে ধরা দিয়েও আমার হও না কেন?
তোমায় বেসে ভালো আমি কাঙাল হই রোজ,
খুঁজে না পাই থই !!
ও মেয়ে, তুই কি এখন রোজ গঙ্গার ঘাটে
সাঁতার কাটা ভিড়ের মাঝে ভিড়িস ?
এখনো কি সকালবেলার রোদে
মিঠে শিশিরের বুজকুরি সব ধরিস!!
এখনো কি ভরা আশ্বিন মেঘে শিউলি মেলে
আমায় ডাকিস তুই -
একটু কথার ছোঁয়া বাঁচিয়ে আমি
রোজই তোকে অনেক কথায় ছুঁই।
পড়ার ফাঁকেতে অপাঠ্যের এক চিলতে ফাঁকি-
আদর করেই সে সুখটাকে তোর নামেতে ডাকি;
আবার কখনো আগুন জ্বালানো ছারখার করা প্রাণ-
বারবার তোকে ঠোঁটেতে জড়িয়ে মৃত্যুকে করে দান
পূর্ণতা ।
মায়া মানবীর শরীরে খাঁজেতে তোমার কোমলতা
ভিজিয়েছে মন নিরালা গদ্যে,উচাটান করে হৃদি-
তুমি ছিলে তাই বৃষ্টি ঝরায় কবিতা নিরবধি।
তুমি ছিলে তাই একরাশ মুড়ি আড্ডায় হল সারা-
তোর জন্যই ভালবাসা-বাসি, যৌবন দিশেহারা।
শতরূপে আস মানবী বা দেবী, তণ্বী সুদর্শণা-
হারানো সে কথা আজ আবার বলি "তোমাকে ত ভুলবোনা.."
স্মৃতি-বিস্মৃতি স্বপ্ন-পরতে মানসী হয়ো গো তুমি,
বাংলা আমার জন্ম-মৃত্যু,আমার স্বর্গভূমি।।