আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই অনেকক্ষণ, অনেকভাবে,অনেক বেশিই। তীব্রভাবে কথা বলতে চাই। কথা বলতে চাই ভরা বর্ষায়,কনকনে শীতে,শুভ্র শরৎ-এ,উজ্জ্বল বসন্তে আর চৈত্রের ঝাঁঝালো রৌদ্রে!
কথা বলতে চাই উন্মাদ হয়ে। কথা বলতে চাই ছাতিম ফুলের গন্ধ মেশানো এক শিশি ভালোবাসা নিয়ে।
কথা বলতে চাই ভোরের আগ মুহুর্তে অথবা গাঢ় ঘুমে। কথা বলতে চাই তুমুল বৃষ্টিতে। কথা বলতে চাই নিশ্ছিদ্র রজনীতে, মর্মঘাতী অন্ধকারে, অমাবস্যার নিকষ আধারে নীরবে- নিভৃতে!
সাগরের মোহনায় উত্তাল ঢেউ ফুঁসে উঠা তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসমুখী ভয়ংকর পরিবেশে ;১১ নং বিপদ সংকেতের একটু আগেও তোমার কন্ঠ শুনতে চাই। কণ্ঠ শুনতে চাই মৃত্যুর অন্তিম মুহুর্তেও!
আমি আবারও তোমার সাথে কথা বলতে চাই। কথা বলতে চাই চোখে চোখ রেখে,চ্যাটিং-এ ,হৃদপিন্ড মোচড় দিলে,দীর্ঘশ্বাস বেড়ে গেলে,বুকের ভিতরে অদ্ভুত শব্দ হলে, শূন্য হাতে অথবা একটি শব্দও উচ্চারণ না-করে শুধু চেয়ে থেকে!
আমি তোমার সাথে প্রচন্ডভাবে ভাব বিনিময় করতে চাই। ভাব বিনিময় করতে চাই বিরামচিহ্নের সমস্ত শর্ত ভঙ্গ করে,অনুভূতিকে আঘাত করে,দূরত্বের সমস্ত দেয়ালকে মাটিচাপা দিয়ে।
যদি তোমার সাথে ভাব বিনিময় করতে গিয়ে শব্দের ভাটা পড়ে?
শব্দ যদি সংকীর্ণ হয়ে আসে?
তবে পৃথিবীর সমস্ত শব্দভাণ্ডারকে আত্মস্ত করে, ভিতরে ধারণ করে, গলাধঃকরণ করে নিবো তবুও তোমার সাথে কথা বলার তীব্র উন্মাদনা নিয়েই আমি জেগে থাকবো!
এতো প্রচন্ড উন্মাদনা আকুলতা সত্ত্বেও তোমার সাথে আমার কথা হয়ে ওঠে না। তবুও তোমার অস্তিত্বজুড়ে, তোমার শিরা উপশিরায়, রক্তের অলিতে গলিতে, মস্তিষ্কের নার্ভে নার্ভে আমি থাকতে চাই। মনের স্তূপাকৃত ভাবনাগুলো আর দংশিত কথাগুলি এক বুক সাহস নিয়ে নিঃসন্দেহে, নিঃসংকোচে, নির্দ্বিধায়, নিঁখুতভাবে বলে দিতে চাই।
মোহাম্মদ জুনাইদ