উষ্ণ উজ্জ্বল অরুনের সর্বশেষ কিরণ হারিয়েছি আমি
ঢেলে রেখেছো বিচ্ছিন্ন গগনে করুণ আধার তুমি।
পারছি না বলেই কষ্টের বহর বুনিয়াদী করেছো সাজ
উর্বর হৃদয় শূন্যতা নিয়ে বেঁচে থাকাই এখন কাজ!
অংশ নও তুমি, তুমিই ছিলে আমার আধার ক্ষণের সাথী
তোমার সন্ধিক্ষণে বসে থাকি তাই একা একা দিবা-রাতি;
পাখি ডাকা ভোর, ব্যস্ত বিকেল, অন্ধকার গ্রাস ক্ষণে
কোনোটাই এখন নেশার অধীনে নয় আমার ক্ষত মনে!
বাবা ছিল সেই বাঘের থাবা দাদিও প্রায় সেম
ছোট চাচা ছিল বাবার চৌগুন চাচিরাও অন্তক্রেম।
শত নির্যাতন শত অভাবে দিন কাটিয়েছো তুমি
অসহ্য জ্বালা সহ্য করেও রেখে গেছো পঞ্চভুমি।
নেই অভিমান না আছে জীদ আছে ধৈর্য মন
নিরস সংসার রসালো করেই বিদায় করেছো বন।
কত অশ্রু বিসর্জন দিয়েই নিরবে ঢাকিয়া চোখ!
হাসিখুশি মুখ অর্পণ করেছো বাহ্যিক সভার লোক।
স্বামী আমার ভালো হয় কিনা শ্বাশুড়ী যদি বুঝে
এমনি করে ধৈর্য ধরেছো নিজের জীবন খুজে।
মনের চাওয়া পূর্ণ করতে ধ্বংস করলা মন-
তোর কপালেই সুখ ছিল না সুখের দিন এখন!
সবকিছুই ছিল ছাওনি ভেদক ভেদ হয়ে গেছে তাই
অপেক্ষার সীমানা র্নির্ধারণ করার সময় আর এখন নাই!
যা ছিল তোর কপালের লিখন মুছা যাবে না আর কভু
তাহলে কি কষ্টের ভাগিদার তোমাকেই বানালো প্রভু?
বিদায়ী হয়েছো বুঝলি না কভু ভালোবাসা একটিবার
বাবাও কাদে দাদিও কাদে হৃদয় মানে না তার!
মরণের আগে বুঝলো না যারা শক কেটেছে আজ
বাবা এখন প্রদীপ জ্বালায় হারিয়ে তোমায় লাজ!
বৃষ্টিতে ভেজা খুব পছন্দ তোমার ; বৃষ্টির জননী তুমি
বৃষ্টির ফোটায় উষ্ণ ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকবো আমি।
নৌকায় ঘোরা, শাপলা তোলা দুটি ছিল তোমার শখ
বর্ষা এলেই অপেক্ষা করব ; সেজে থাকবো সাদা বক!
স্বভাবি নারী অভাব বুঝে না খন্ডন করেছো তান
বিশ্বের বুকে নারী হয়ে আসুক তোমার মতই ধীমান।
তুমিই আমার শ্রেষ্ঠ হিসাব সর্বকালের দান
আমার বুকেই লালন করব দিন-রাত-সকাল- সান!