তোমার মুখের ছায়াখানি, রাত বিরাতে চোখে ভাসে
কোন রূপেতে তোমার বদন, অশ্রুপাতে মনে আসে!

আকুল দু চোখ ব্যাকুলভাবে স্বপ্ন মাঝে দেখতে যেয়ে
স্বরূপকাঠি সব ছাড়িয়ে, যায় হারিয়ে তোমায় পেয়ে।

তুমি যখন একলা থাকো, আমি কাঁদি সঙ্গহীনে,
কেমন করে জীবন কাটাই তুমি বিনে এই ভুবনে!

কতো দিনের কতো আশা মনের ভিতর বাঁধা বাসা
কতো ব্যথায় বুক ভেঙেছে হারিয়েছে পথের দিশা।

কখনো যদি বুঝতে পেতে, ভাসছি আমি কোন সে স্রোতে,
বোবা মনের কতো কথা, লাশের মতো রাখছি পুঁতে।

আমার সকল স্মৃতি শিখা তোমার নামে মগ্ন থাকে,
রাত্রি দিনের ঘোর কাটাতে তোমার ধ্যানে ছবি আঁকে।

নিথর দেহ কেউ দেখেনি, এ প্রাণ নিয়ে নিরব আছো,
তুমি শুধু মন কাড়োনি, আমার আমির সব নিয়েছো।

উজান ভাটির নদীখানি, দারুণ খরায় শুকিয়ে গেলো,
চাতক এ মন মেঘের আশায় জল পিপাসায় প্রাণ হারালো।

তোমায় যদি দেখতে পেতাম স্বপ্নে পাওয়া সুখের মতো,
অন্ধ হয়ে কাটিয়ে দিতাম বাকি জনম প্রহর যতো।

রাখতে যদি পারতাম তোমায় আলো করে মনের ভিতর,
সে আলোতে পোড়ে পোড়ে হয়ে যেতাম প্রেমিক পাথর।

চলে গেলো তোমায় চাওয়ায় কতো দিন আর কতো রাতি,
এ কোন ভালোবাসা বলো যন্ত্রণা যার নিত্য সাথী!

আমার চাওয়াতে যতো ভুল, ছিলো মন তোমায় পেতে,
আমিই শুধু জন্মেছিলাম সকল ভুলের মাসুল দিতে।

হন্য আমি শূন্য ঘরে একলা হয়ে কাটছে জীবন,
তোমায় পেলে সবই পেতাম, এখন শুধুই বাকি মরণ।