হে পরোয়ারদিগার!
আজ হৃদয়টা উজাড় করে সবটুকু নি দিয়ে ডাকছি।
ইয়া রহমান! ইয়া রাহিম!
আজ অন্তরে কিসের ঝর বইছে,
কোন কষ্টের ঢেউ উপচে পরছে কার টানে ?
কার প্রেমের দহনে হৃদয়ে যে শুধু দগ্ধ হয়?
আপনার তো অজানা নেই।
আমি বোঝাতে অক্ষম বান্দা,
আপনি বুঝতে সক্ষম আমার মালিক!
এই নিকশ কালো আধার কেটে,
কখন যে ফুটবে ভোরের সেই ঝলমলে রশ্মি,
আমার জানা নেই।
তাই কখনো অন্তরে বোবা কান্নার রোনাজারি চলছে,
কখনো চোখের নোনা জলের জোয়ার আসছে।
সবসময় কেমন যেন একটা অজানা ভয় তারা করছে।
আমার জীবনে মধুময় নূরানি স্বপ্নে,
এই বুঝি বাধা এসে ভেঙ্গে দিল সব।

জীবনের দিন যে ফুরিয়ে যায়,
ধীরে ধীরে আধার নামে।
শত সহস্র সমুদ্রের দূরে বহু দূরে সবুজ গম্বুজের ,
ইশকের আগুনের জ্বলতে থাকে এই রূহ।
এ অবুঝের অশ্রুর ভাষা কেউ যেটা বুঝে না,
কেউ যেটা জানেনা আপনি তা জানেন,
তাই এই বিরহ বেদনায় যে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে থাকি।
আমি যে স্বপ্নের তরঙ্গ দোলায় দুলছি,
তার পূর্ণতা মালিক তো আপনি, ইয়া আল্লাহ!
যদি আমার কিসমতে সিতারা রওশন করেন,
তখনই যে পরিপূর্ণ হবে দিদারে বাইতুল্লাহর।
আমি যে হেরেমের নূরের ঢেউয়ের গভীরে ডুবতে চাই,
আমাদের কবুল করেন হে আমার রব!