ঐ আসমান জমিনের রাজাধিরাজ!
যার হাতে আমার পরান পঙ্খিরাজ।
অধমের হৃদমাঝারে রাখিব তোমায় যত্নে,
তাই তো করেছি অঙ্গিকার মন গগনে।
অনুতাপের নোনা জোয়ারে ভাসছি নয়নাভিরাম,
ক্ষণে ক্ষণে প্লাবিত হচ্ছে পৃথিবী বিস্বাদ।

ও আমার অন্তর্যামী!
এ বান্দি যে বড় অভাবী।
গুনাহের ভারে নুয়ে পরছে এ জীবন,
ক্লান্তিলগ্নে পথহারা পথিক এখন।
অশান্তির ঝড় বইছে হৃদয়ের গহীনে,
অনাবিল শান্তির আশায় তোমার দীদারে।

আবেগের তাড়নায় বহুবার বহুভাবে,
অগণিত ভুলে আজ বিবেকের তরে।
দাবানলের প্রচণ্ড উত্তাপে জ্বলছে ক্বলব,
লোভের মাশুলে পুরছে মন মোহন।
অনুশোচনায় মিলিয়ে যাচ্ছে এ ভুবন,
ক্ষতবিক্ষত এ প্রাণটা যে অনুতপ্ত,
অনুতপ্ত আমার এই তনুমন।

ফেতনার জগতে সমুদ্র ঢেউ,
দয়া ছাড়া তোমার পারবোনা পারি দিতে কেউ।
দিলের জমিনে আফসোসের দিশেহারা,
অভাগীর এই রূহ চায় রবের ইশারা।
অবাধ্যতার চোরাবালীতে অনুভব করি হুংকার,
বিবেকের আদালতে চক্ষু রাঙানীতে,
আমি যেন হয়ে যাই চুরমার।

আবারো করি ফরিয়াদ হে মহা মহীয়ান,
ঢেলে দাও রহমত তোমার,
দিলের দুয়ারে আমার।
অন্দরমহলে শুদ্ধতার হাওয়া,
যেন বহে ক্ষণে ক্ষণে।
বসন্তের আগমনে মোন কাননে ,
যেন ফুটে অবারিত শুভ্রতার পুষ্প কলি।
শেষ বিদায়ে জবানে আমার,
থাকে যেন পবিত্র ঐ কালিমার বাণী।