মধুর রমণী ধ্বনি হঠাৎ পশ্চাতে শুনি
সকৌতুকে পিছনে তাকাই,
উৎসাহী নয়ন মোর দেখিয়া তোমার নূর
হইলাম বিভোর একাই!
পূজা প্রসঙ্গ আলাপে এসেছিলে চুপে চুপে
জানিতে ভোগের দরদাম,
আমিও ছিলাম বসে কিছুক্ষণ পূর্বে এসে
শুনিয়া রেস্তোরার সুনাম!
ঐতিহ্য ঘরোয়া শাড়ী তাঁত বস্ত্র মণিপুরী
এসেছ পড়ি আপন ছন্দে,
অনাড়ম্বর সৌন্দর্যে পূর্বে তোমা দেখিনি যে
সরল সাজের এ আনন্দে!
রমণীর স্ব-শরীর যেন স্বয়ং প্রকৃতির
মুহূর্তে রূপে রূপান্তরিত,
আমরা মানব জাতি দেখিয়া রূপের প্রীতি
করি আপনারে সমর্পিত!
তুমি তো মর্ত্যের দেবী তোমায় আরাধ্য ভাবী
প্রেমের অর্ঘ্য করি অর্পণ,
প্রতিদানে তুমি স্বয়ং ত্যজিয়া চতুর অহং
করো মোরে একান্ত আপন!
জাতের তুলনা করি সভ্য সমাজ বিচারী
তাঁরা যদি করে আক্রমণ?
তুমিও ওদের হয়ে রহিবে মাথা নোয়ায়ে
না করি প্রতিবাদ জ্ঞাপন?
স্বয়ংবর সভা ডেকে সভার উপস্থিতিকে
দিও প্রণয়ের পরিচয়,
প্রণয়ের ঐ স্বীকৃতি বরমাল্য পরিচিতি
সামাজিক শুভ-পরিণয়!
----০----
(দীর্ঘ ত্রি-পদী ছন্দ)