চকিতে চমকি দেখি        আমার সমুখে একি
               শ্রীমতী মণিপুর বাসিনী,
দ্রুতপদে পায়ে হেঁটে      কোথায় চলিলে ছুটে
            এই সন্ধ্যা রাতে একাকিনী!

যেতে যেতে কি আবেগে     নয়ন ফিরালে বেগে
                  বিরহীর এই তপ্ত হৃদে,
ক্ষণিক পলক ফেলে          আমায় দেখিলে ছলে
               আহা, কি যে প্রণয় আহ্লাদে!

তোমার চাহনি শেষে        বিরহী আবেগে ভাসে
            মুখে নাহি স্ফুরে কোন কথা,
কোনদিকে নাহি চায়        তোমার পিছনে ধায়
            পৌঁছাতে আবেগময় বার্তা!

পিছনে আমি একাকী        অপেক্ষায় আছি ঝোঁকি
               সেই প্রণয় পলক লাগি,
তুমি তো গো আনমনে      ঐ পলক বিতরণে
              চলিলে এ বিরহীরে ত্যাগী!

বিরহীর অশ্রুনীর         তোমার লাগি অধীর
           ওগো ছলনাময়ী ললনা,
কেন সদা দূরে দূরে      থাকো গো ছলনা করে
          পাঠাও পলক বার্তা-খানা!

দেহ সৌষ্ঠব সৌন্দর্য      যেন স্বর্গের ঐশ্বর্য
               ধরায় তুমি তবু অধরা,
মর্ত্যের বিরহী যত        নারীর পলক চূত্য
            সইতে না পারে কভু তারা!

আর কি হেরিব না রে       তোমার নয়ন জুড়ে
                পলকের প্রণয় চাহনি,
পলকের বিকল্প যা         তোমার ভ্রূকুটি ওঝা
               বিরহ বিষ নিহতে জানি!

পলকের মতো শৌর্যে      তব ভ্রূকুটি সেও যে
               নর হৃদয়ে সৃষ্টে পুলক,
ঐ ভ্রুকুঞ্চন না হয়         বিরহীর তরে রয়
              পলকের বদলে পলক!
                        --০--
(দীর্ঘ ত্রি-পদী ছন্দ)