কতই না করি যাত্রা - সুদূর,
নাই মোর কোনো গৃহ-বন্ধন!
করি ভ্রমণ -
কাল-ক্ষেপণ কেবলই মোর,
বিহার যাত্রা পায় না সে মাত্রা।
হয় ক্ষয় আপন শ্রীচরণ!
কতো দর্শন করি সারাক্ষণ -
নাই আমার দেখার ইয়ত্তা!
অতীত দৃশ্যে -
নিজ প্রয়াসে করি স্মৃতিচারণ,
স্মৃতির ঘোরে দিবারাতি জুড়ে -
সদাই হারাই আপন সত্তা!
কতো দুঃস্বপন দেখি নিশীথে -
তার হয় না কভু কেন শেষ?
চাহনি যেই -
নিভৃতে নিই পালঙ্কে ঘুমাতে,
আয়েশি মন করে যে উচাটন -
নিদ্রা আমার হয় নিরুদ্দেশ!
কতো না কিছু শুনি চুপিসারে -
আড়িপেতে না করি কোনো সাড়া।
যতই রয় -
কর্ণদ্বয় মোর দূরে দূরে,
কখনো না শুনি বিবেকের বাণী -
হই শেষে উদ্দেশ্যে লক্ষ্য-হারা!
বকুনি দেই সেই যারে-তাঁরে,
হয় নাকো অচিরে অবসান।
যতই ঢালি-
অশুভ গালি চন্ডালী বেসুরে -
সেই সুরে বিশ্বজগৎ জুড়ে।
নিজেরে করি শুধু অপমান!
করি হৈ হল্লা বিনা প্রয়োজনে -
হই নাকো কখনো আমি ক্লান্ত।
উঠাই রব-
ঐ বুলি সব- অবুঝ বদনে,
আপনার গরজে নয়ন ভিজে।
অশ্রুজলে হয় বসন সিক্ত!
কতো না কথা কই হাস্য-মুখে,
বাক্য সুখে হারাই নিয়ন্ত্রণ!
সুযোগ পাই -
আত্ম গাথা গাই - জন-সম্মুখে,
বৃথা বিবৃতি বাড়ায় বিরক্তি,
আর পাই না কোনো নিমন্ত্রণ!
দুর্লভ এই মানব জীবনে -
কতই যে বিচিত্র আচরণ!
বিচ্ছেদ গায় -
ক্রমে বিদায় হয় নির্জনে।
কালের প্রভাবে আর না জাগিবে,
সে সকলে ব্যাকুল আরাধন!
----০----