অমাবস্যার আঁধার হেরি গো গৌরী তোমার
শশীরূপ ঐ শ্রীমুখময়,
কেন গো এমন করে করুণ বেদনা ভরে
নিঃশ্বাস ছাড়িছ ধরাময়?
তব দীর্ঘ তপ্ত শ্বাসে হৃদি মাঝে হা-হুতাশে
আত্মারূপ প্রাণবায়ু মম,
তব দিব্য ভালোবাসা ছিল চন্দ্র শোভা নিশা
আজ যে হেরি তব শ্রী তমঃ ?
নয়নে বিলাপ শুনি ক্ষীণ-চন্দ্রমা চাহনি
প্রভা-হীন বিশুষ্কপ্রায়,
ষড় রাগের রাগিণী ক্রন্দনে নাসিকা টানি
দ্বৈতে সে প্রলাপ গীত গায়!
তুমিই আরাধ্য মোর অন্ধকার করো দূর
পূর্ণ চন্দ্রিমা রূপ আচরি,
চন্দ্রালোকিত বাসর আসুক জীবনভর
তব পুণ্য প্রভা সঞ্চারী!
অদ্ভুত মোর বিস্ময় তোমা পানে চেয়ে রয়
লভিতে তব প্রণয়াদর,
কেন তবে প্রীতিভরে হাসো না গো মোর তরে
পুলকে ঝোঁকি পরস্পর!
আর কি হেরিব তব নিত্য নব পূর্ণ শুভ
সাঁঝের বেলার সেই সাজে?
মোর জীবনের সাঁঝ আসন্ন প্রায় আজ
শতায়ু বার্ধক্যের লাজে!
মুহুর্মুহ মৃত্যুরে ধেয়ানে পাই অদূরে
কেমনে তরিব তাঁর ডর,
শ্রীরূপ দর্শন তবে দাও মোরে এই ভবে
লভিতে অমর কর্ম-বর!
----০----
(দীর্ঘ ত্রি-পদী ছন্দ)