কেউ পাবে না তোমরা আমাকে আর . . .
অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি;
দেখে শুনে, নিজের ঘাড়েই
সব দোষও মেনে নিয়েছি।
কিন্তু. . . কি পেয়েছি?
সুখের নামে, অর্থের বাহাদুরি?
ভালোবাসার নামে, শুধুই আহাজারি?
এই কুল, ওই কুল করে করে, নিজেই
আজ তাই দুই কুলকে, যদি আমি ছাড়ি;
তবেই হয়তো পাবো শান্তি।
খারাপ বলেই যখন জেনেছি নিজেকে –
তখন, মৃত্যুর পথ এখন দিবো পাড়ি,
এটাই ভেবে নিয়েছি।
আজ আমি জেনে গেছি, আমি এক অকর্মণ্য,
নিজের সব মানুষের কাছে যে এটাই হয়েছে গণ্য;
শুনতে পেলাম, মিথ্যার মাঝে আমি থাকি মগ্ন!
তবে, কেন থাকি এভাবে একাকী আমি,
কে বা কার জন্য?
জীবন আমার হয়েছে ধন্য. . .
যারা এনেছে আমায় পৃথিবীতে জোর করে ডেকে,
হাজার হাজার স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেদের, এই আমাকে;
আজ যেন তাদের কাছেই
আমার মূল্য, নিতান্তই নগণ্য!
তারা অর্থের জোরে ভাবে আমায় আজ, যন্ত্র পণ্য,
দিয়ে যায় অনবরত প্রাচুর্যের খোঁটা, ভুলে গিয়ে –
তাদের এই অর্থকড়ি তবে
কেন?? কাদের-ই বা জন্য?
ভাঙ্গা জীবন, দো-টানা সারাক্ষন;
কেউ যে বোঝে না, করে আমারই মতন!
নিজেরি মতো করে ভেবে সবাই,
বলে যায়, যার যা খুশি, যখন তখন!
চাই না আর আমি, এই আমার জীবন,
হারিয়ে ফেলেছি যাদের আশায়, নিজের যৌবন,
তারাই যে চায়, ছাড়াতে আমায়,
এই বিশ্ব ভুবন!
ধন্য হয়েছে আজ জেনে,
তাতেই আমার জীবন. . .