একবারই অনুরোধ ছিল তার, সে যে কৃষ্ণকলি!
ট্রেনে জানালার সিট তাকে দিয়ে ফেলি
ছ-ঘণ্টার যাত্রায় সাথে খোলা হাওয়া
শুরুটা এরকম ছিল,
এখানেও ছিল কি কিছু চাওয়া?
অচেনা শ্যামলী কত শত চেনা হয়ে এলে
কবি! তুমি কি কৃষ্ণকলি তাকেই বলেছিলে!
ঠিক এরপর মানতে হলো অজানা গৌরীকে
সেও চেয়ে নিল সদ্য বদলের ঠাঁই
এক ফালি হাসি দিয়ে
তৃণ-নত হয়ে কি যে আনন্দ পাই
সেকথা নিজেকেই জানাতে চাই,
দ্বিতীয় দফা জায়গা বদল, তাদের পছন্দ মানা
আমি তাদের মেনেছি না তারা, সেটুকু অজানা;
ভাবতে বসে সেই হিসাবের খাতা খোলা
না মেলা আঁকিবুকি শুধু হৃদয়ের খেলা।
বারোর পরীক্ষা হ'লে পাশে বসা বান্ধবী
থেমে গিয়ে তাকিয়ে ছিল, চোখে আকূতি
খাতার পাতা খুলে দিয়েছি অতঃপর
নিজের উত্তর লেখা হলো না তারপর
আমার দশ নম্বর কম, সে অনার্স পেল
নির্দয় ভাগ্যদোষ মেনেই নেওয়া গেল।
এই সায়াহ্নের মন্থর ভাবনাতে তুমি এলে!
ভাল ছিলে বলে জানি,
জীবনের কতটা পেলে?
কলেজের ছাত্র সংসদের আহ্বান এলো
কবিতা লিখলেই খালি হবে না ---
কাজও কিছু করার ছিল
হাত বাড়াতে হবে, কাজ করতে হবে কিছু
কিছুতেই ছাড়েনা পিছু,
কবি বন্ধুর অনুরোধ অন্য দিকে---
সে কাজ করতে চায় জিততে চায়,
বিরোধী পক্ষে দাঁড়াতে চায়
বন্ধুর হার তার পছন্দ নয়!
ফর্ম ভরা তাই রয়ে গেল সে সময়;
বন্ধুতা রেখেছি ধরে খালি হাতে
পরে কষ্ট পেয়েছি, শুনে তার পরাজয়।
এভাবেই পেছোতে থাকা দুর্বল মনের গলিতে
কখনো অন্ধ গলি, নয়তো পিঠ ঠেকে দেওয়ালে
জন্মভূমি ছেড়েছি, আত্মীয়তার অপরাহ্ন মায়া
সব টান ছিঁড়ে ধরেছি অচেনা জীবনের ছায়া;
ছিন্নমূলের ব্যথা গভীরে নিয়ে দূরদেশে
পেটের তাগিদে, দোটানা জীবনের ফাঁদে
পেছুটান আঁকড়ে আধশোয়া হ'ল
তাই ঘুম নেই চোখে, বিনিদ্র রাত দীর্ঘতর।