নীল আকাশে তুলোর রাশি
স্বপ্নের খেয়া বাঁধে
ভোরের শিশির দূর্বাদলে
উন্মূখে চেয়ে থাকে
শিউলির শাখা নত ফুল ভারে
সুবাসিত করে রজনী
কাশের বনে ধবল জোস্না
প্লাবিত করে ধরনী
উল্লাসহীন উৎসব আসরে
প্রকৃতি নিরব প্লাবনী।
নদীর দুকূল প্রাচূর্য্যে ভরা
ছাপিয়ে রাখার প্রস্তাব
প্রকৃতি সাজে ঋতু সম্ভারে
মানুষের ঘরে উৎসব;
চাষীর ঘরে বছরের শেষে
পাকা ফষলের আঘ্রাণ
অন্নদাতার আশীর্বাদে
সু-রসনায় সু-ঘ্রাণ
নব অন্নের খুশিয়ালিতে
জীবন জোয়ারে প্রাণ।
বাউলিয়া মন ঘরের বাইরে
উদাসীর খোঁজে বেড়ায়
মাধবীলতার শেষ থোকাটা
আরও কিছু দিতে চায়
আগমনী সূধা সন্দেশ আনে
উৎসব-তান সঙ্গীতে
আসবেই ঊমা মানেকার ঘরে
শরত শিশির প্রভাতে
ঢাকীর বাদ্য তাই অবাধ্য
দিন রাত কাটে অজ্ঞাতে।
এ সময় যেন সুর না কাটে
অসুরীয় বাগাড়ম্ভরে
দুঃখ থাকবে সুখের দোহারে
নানা ফুল-মালা সম্ভারে
অন্নপূর্ণা আঁচলের ছায়ে
সন্তান-প্রীতি সুখের আশা
আনন্দধাম সর্বোত্তম
মানস প্রীতির সহজ ভাষা
সুক্তির বুকে মুক্তো জীবন
সহজ লভ্য ভালোবাসা।