আমার পরিচয় দিতে দেরি করলাম বলে ক্ষমা চাওয়ার  দায়বদ্ধতা যদি থাকে, তবে ক্ষমা করে পূর্ণ্যতা প্রাপ্তির সুযোগ গ্রহণ নিশ্চই আপনাদের হাতে। আমি আড়াই দশকেরও বেশী সময় বাংলার বাইরে, বর্তমান প্রতিবেশী রাজ্য উড়িস্যার সম্বলপুরে একটা আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে বাসস্থান, এবং সেখানেই আমার স্নাতক পর্যন্ত ও পরে কলকাতায় উচ্চ-শিক্ষা লাভ।
লেখালেখি শুরু পড়ার সময় দেওয়ালে  ও পত্রিকায়, কলকাতা ছাড়ার সাথে শেষ (দীর্ঘ সময় বাংলার সংশ্রব ছেড়ে এমনো অনেক দিন গেছে একটা বাংলা শব্দের সাথে সাক্ষাত হয়নি), বর্তমান বাংলা-কবিতাকে পেয়ে তাই অন্ধের যষ্টি। এজন্য এডমিনকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এবং তাতে তাঁর বা তাঁদের বদান্যতাকে ছোট না করে সম্মান রক্ষার দায়বদ্ধতা স্বীকার করতেই হয়। যথেষ্ট আন্তরিক প্রয়াস না থাকলে এমন একটা বিশ্বভূবন পার্শ্ব-তরঙ্গের ভাবনা, পরিকল্পনা, রূপায়ণ ও পরিচালনা সম্ভব ছিল না। আর্থিক ব্যয়ভারের কথাও আস্বীকার করা যায় না, এখনও সে সম্পর্কে জানি না বলে অন্ধকারেই আছি।
শেষে কবিতার আসরে যারা জেষ্ঠ্য ও শ্রেষ্ঠ-কবি তাঁদের প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা এবং সব কবি- বন্ধুকে আমার নমস্কার ও অভিনন্দন জানাই। একই সাথে পাঠকদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।
আজকের আত্ম-প্রকাশের সাক্ষী হিসাবে যে কবিতাটা 'বিষাদের শেষ কবিতার কাছে' কবিতার পাতায় প্রকাশিত হলো তা পড়ার জন্য সবাইকে আনুরোধ জানাচ্ছি, এটা প্রতিশ্রুতি ও। আগামী দিনে সকলের আলোচনা ও সমালোচনা নিশ্চই আশা করব ।
ধন্যবাদ।