ভাত দেয় ভাতারে নাকি ভাত দেয় গতরে
সাদা ভাত নুনদে খাব নাই দিলি ভাতারে।

পেঁচি কেন সকাল সকাল হেচকি তুলিশ
জল খেইয়েনে, বড়ো দেকি কতা বলিস
বাড়ির ভেতর থাকপি যেন চকির আলো
গাই দুবি তুই, ছাগল গুনো আমি চরাবো।

ছেলেডা ঢেলা মারে ওঁচো হয়ে তেতুলগাচে
খিদের ভিমরি, মাটির ডেলা ভেঙে যাচচে
কতাকান কানে যায় না, কতায় কতা বাড়ে
কাজ করলি কাজের অভাব! বুঝাই তারে।

কাজ করে পয়সা নেবা নজ্জার মাতা খাবা,
ফিরির চাল এনোনা, ঘর দোর নষ্ট হবে
নষ্ট ঘরে রাকা যাবে না আইবুড়ো মেয়ে
তেনাদের নজর খারাপ, ছেলেডা কি খাবে?

পিচনে ভোট আচে তেনাদের ভোটের মেলা,
খেমতা যতোখন, কাজ করে খাও দুবেলা
ন'হলি আমার বলো কাজ করলি অভাব!
নুনদে খাব একবেলা, বিকোবনা স্বভাব।


** কবিতাটি এক গ্রাম্য মহিলার নিত্য দিনের ভাবনা ও কথোপকথনের আদব-কায়দা তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র।