তোমার সাথে প্রথম দেখা নাড়ির যোগে
তোমার কাছে ফেলে রাখা সেই পিছুটান
তোমার ঘরে আমার প্রবেশ শাঁখের বাজে
তোমার জীবন দুভাগ করে আমি এলাম;
দুঃখ সুখের সাগর পারে কান্না হাসি
সুরের তালে মিলিয়ে তোমার চোখ,
পাপড়ি খোলার প্রথম ভোরে
জানিয়ে দিল জীবন এমন
সহজ হাসির ঝোঁক।

আমার প্রথম কান্না তোমার আস্থা খোঁজে
আমার আসা তোমার আশার স্বপ্ন পূরণ
আমার হাসি তোমার মুখের হাসির সাজে
আমার সাথে এলো তোমার নারীর ভূষণ;
মাগো, আগলে রেখে হাতের ভাঁজে দিনে রাতে
কান্না হাসির সঙ্গী তখন আমি একা
কোন অজানা খুশির দেশে আমার সাথে
আনন্দে ঘর ভরিয়ে ছিলে।


এমন করে কুঁড়ি আসে গাছের শাখায়
এমন করে মুকুল আসে আমের বনে
এমন করে প্রকৃতি তার সৃষ্টি সাজায়
এমন করে ইচ্ছে গুলো পাখনা মেলে;
সূক্ষ্ম সূতোয় ভালোবাসার অমোঘ বুনোন
তোমার মুখে হাসির রাশি চিনিয়েছিল
আমার ভুবণ তোমার কোলে,
বর্ষা তাকে যতই ভেজাক
স্নেহে ভেজে শতেক গুনে।

তোমার কবিতা ভরা আঁকা ছবি
স্মৃতির কাঁথায় নকশা আঁকা
স্পর্শ সুখের কোমলতায়
এখন আরও উষ্মতা দেয়,
তুমি গ্রামবাংলার মা
শীর্ণদেহে পোড়ার গভীর ছাপ
রুদ্র-তাপের প্রান্তরে সৃষ্ট কালিমা
তুমিই আমার মা;
স্বপ্ন বোনা মাঠে হাওয়া দোল খেয়ে যায়
হীরে-মতির সোনার ধানে
কুসুম কোমল হৃদয় দিয়ে তোমায় ভুলাই
ইচ্ছে নদী পার হয়ে যাই
আপন মনে।

এখন মাগো তোমার ছায়া অনেক দূরে
আর একটি বার কাছে পাওয়ার
সাধ্য যে নেই, আছিও যেমন
তোমার নিজের হাতে তৈরী করা
সেই কোমল হৃদয়, এত্ত ভারী! পাথর যেমন।