১৬.
জিন্দেগি ইয়ুঁ ভি গুযার হি জাতি
কিঁউ তেরা রাহগুজার ইয়াদ আয়া?

জীবন তো যাচ্ছে কেটে
এমনি করে,
তবু কেন তোমার কথা
মনে পড়ে!

১৭.
গো ম্যায় রাহা রহিনে সিতমহায়ে রোযগার
লেকিন তেরে খায়াল সে কাভি গাফিল নেহি রাহা।

সবার কাছে যদিও ভীষণ
তুচ্ছ আমি,
তবুও জানি তোমার কাছে
আমিই দামী।

১৮.
হাম কাঁহা কে দানা থে কিস হুনারপে য়াকতা থে
বেসবব হুয়া গালিব দুশমন আসমাঁ আপনা।

পাইনি খুজে নিজের মাঝে
কিই বা ছিলো গুণ!
ভাগ্যই আমার শত্রু হয়ে
করে গেলো খুন!

১৯.
শাম্মা বুঝতি হ্যায় তো উসমে সে ধুঁয়া উঠতা হ্যায়
শোলায়ে ইশক সিয়াহপোশ হুয়া মেরে বাদ।

প্রদীপ যদি নিভে যায়
তবুও উড়ে ধোয়া,
আমার উড়ার কিছু নেই
সবই গেছে খোয়া!

২০.
নাদান হো জো ক্যাহতে হো
কিঁউ জিতে হো গালিব,
মুঝকো তো হ্যায় মরনে কি তামান্না
কোই দিন অওর।

অবুঝ মনে প্রশ্ন করি
কেন আছি বেঁচে?
ভাগ্যে থাকা মৃত্যু ক্ষণ
টানতে নিজের কাছে?

মূল: মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালীব
ভাবানুবাদ: জবরুল আলম সুমন

বি. দ্র. প্রিয় পাঠক বন্ধুদের অনেকেই আমার এই ধারাবাহিককে মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালীবের শের এর সরাসরি অনুবাদ ভেবে ভুল করেন। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি এই ধারাবাহিকটি সরাসরি অনুবাদ নয়, মির্জা গালীবের শের এর মূল ভাবকে আমি আমার মতো করেই প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি মাত্র তাই এই ধারাবাহিককে অনুবাদ না বলে ভাবানুবাদ বলা যথাপোযুক্ত হবে। ধন্যবাদ সব্বাইকে।