বাহিরে ভিতরে আছো আছো মন জুড়ে
মাকড়সার জাল হওয়া চেনা এ শহরে,
ফসলি সবুজ মাঠ অচেনা সেই গ্রামে
ঝাঁকে ঝাঁকে স্বপ্নেরা যেখানে থামে;
উড়ে যাওয়া সাদাকালো মেঘের আঁচলে
আচমকা ভিজে যাওয়া শ্রাবণের জলে,
আছো তুমি দৃষ্টিতে বৃষ্টিরও ছাটে
সরে যাওয়া কালো টিপ ভরাট ললাটে;
দশ আঙ্গুলের ফাঁকে হেয়ালী খেলাতে
হাতে হাত রেখে সুদূর অদূর চলাতে।
চা কাপে নেই আছো ক-হীন চুমুকে
বলে যা বলুত তবে অমুক তমুকে,
চিরকুটে ফুলে থাকা মোটা ওয়ালেটে
ঘরোয়ার গ্রীল কাবাব খিচুড়ীর প্লেটে;
বলদার প্রতি গাছের পাতায় পাতায়
পাশা পাশি হেঁটে যাওয়া ভিক্টোরিয়ায়,
সন্ধ্যার মোগলাইয়ের পরোটার ঝালে
মিশে আছো এ বুকে সকাল বিকালে।
আছো তুমি অযৌক্তিক যুক্তি মিছিলে
বুঝেও না বুঝার অবুঝদের দলে,
জ্যাম লাগা রাস্তায় বিরক্তির বানে
উঁচু উঁচু ইমারত বিপনী বিতানে;
ফুটপাত থেকে নেয়া বেলীফুলের ঘ্রাণে
তাল লয় ভুলে যাওয়া বেসুরো গানে,
হুড ফেলা রিক্সায় খুব চেনা আদরে
মিছে মিছির রাগে বুনা সলিল চাদরে;
তুমি আছো ডানে বায়ে এখানে ওখানে
মনজুড়ে আছো বলে আছো সবখানে।
হাতের মুঠোর ভাঁজে প্যান্টের পকেটে
গলায় ঝুলে থাকা চেইনের লকেটে,
মুঠোফোনে রাত ভর খুব কম রেটে
সারাদিন অনলাইন ইন্টারনেট চ্যাটে;
রেখেছি তোমায় মাথায় রেখেছি বুকে
হঠাৎ বেদনার ঝড়ে মুঠো মুঠো সুখে,
গিলে ফেলা অভিমানে না বলা কথায়
নিরবতা ভাঙ্গাতে খামছি আঁকায়;
ফেলে দেয়া দীর্ঘশ্বাস স্বপ্নে ও গানে
মিশে আছো সারাবেলা ঘুমে জাগরণে।