এক বিন্দু প্রণয়কাব্য
লেখা হয়েছিল ছেঁড়া কাগজে।
সে কাগজ অপদ্রব্য
ব্যস্ত অসুস্থ এই মর্ত্য সমাজে।
যাকে আমি কাঠগোলাপ ভেবেছিলাম
তাতে আজ অশ্লীলতার ঘ্রাণ পেলাম।
সেই বস্তুজগৎ, প্রেম-প্রণয়ই যথেষ্ট
ভালবাসা? সে তো সকলের শ্রেষ্ঠ।
একটা চারা রোপণ
কিংবা, হতে পারে উত্তরণ!
দুই'ই অবকাশ রাখে, শক্তির বিচ্ছুরণ।
আমি ছিলাম দূর্বাদল অরুণ।
পথের ধুলাবালি, পথিকের দু'এক লাথি,
জীবন নামের ঝড়ের আঘাতে কাঁপি!
হয়তো, সব ব্যথা সময়ে ম্লান হবে,
সুখের জোয়ার দু'কূল ছেয়ে নিবে,
তবুও কি তোমারে পাওয়া হবে?
ভালবাসা কি আমৃত্যুকাল রবে?
পাষাণভার হৃদয় 'পরে চাপিয়া
ঘুরছি জগৎ সংসার ব্যাপিয়া।
ভুলেই গেছি আমি প্রভুর প্রার্থনা
মিথ্যা সাগরে দিয়ে যায় অর্চনা।
এ পথ নাহি থামিবার,
কখনো নাহি পিছু ফিরিবার,
শত সলিল-সমাধি বুকে চাপাবার।
তার মাঝে সুখ, এক-দুই-চার।
মাফ নাহি পাই, তবুও ক্ষমা চেয়ে যাই,
এ অধম জন্মান্তর নিরুপায়!
২৬শে ভাদ্র ১৪২৪
নারায়ণগঞ্জ