বাড়ি ফিরছি
চন্ডিপুল দাঁড়িয়ে ঠিক পূর্বকোণে উদিত অর্ধেক চাঁদ
থালার মতো ভেসে উঠেছে মেঘের শরীরজুড়ে
আমার বাড়ি ফেরা
রাত এগারোটার ঘরে
অপেক্ষার প্রহর শেষতো হয় না
কুয়াশার আলোয়ান ভেদ করে নোহায় চেপে বসলাম
উচ্ছল তারুন্যভরা ড্রাইভারের পাশেই রাশভারি ভদ্রলোকের চশমায় দেখে নিলাম তিনির শৈশব
বাড়ি ফেরার কল চলে এসেছে
আমি এখন সাতমাইল পাড়ি দিয়েছি একথা হানান দিলাম বড় ভাইয়ের আশঙ্কার বিপরীতে
অর্ধেক চাঁদ এতো অর্ধেক কল্পনা ধারন করেছে বুকে
মেঘের আস্তরন সরিয়ে কুয়াশা উড়াই চোখের গাম্ভীর্যে
বগুড়ার বন্ধুর চ্যাটে বিনীময় হয় আমারও কিছুটা সময়
গল্পে গল্পে লহরীর ব্রীজে গাড়ি থামলে
অবাক বিস্ময়ে দেখি তারুন্যের নির্জলা হাসি
আজ ভাড়া লাগবে না
ফিরতে এ আনন্দের বুকে লহরীর খালে চকচক করে আকাশের অর্ধেক চাঁদ তুমি, অর্ধেক কল্পনাও কি
চাঁদ মেঘের কিনারে ভেসে ভেসে পশ্চিমে হেলে পড়া তারার ঝিলিকে কেঁপে যাই
নির্জলা স্পষ্ট দেখা যায় দূরের পাহাড়ে অপারের বাতি
বাড়ি ফিরছি
কুয়াশার আলোয়ান ভেদ করে গাছের ছায়ায় মায়ায়
রাতের আবহে দিনের চড়ুই
অর্ধেক চাঁদ তুমি, অর্ধেক কল্পনা