পাওয়া আর না পাওয়ার দোলাচলে
কাটছে ২০২০ সাল!
এ সময়ে কেউ কেটেছে দুখে
আবার কারো কেটেছে সুখে!
কেউ বছর কাটিয়েছে জনগণের পকেট কেটে,
কেউবা আবার কাটিয়েছে সব লুটেপুটে খেয়ে!
এই কাটা আর খাওয়ার দৌঁড়ে মজে থাকলেও
আসমা বিবির বাপের অবস্থার
কোন পরিবর্তনই হয় নি।
গ্যাস বা বিদ্যুতের মিটার রিডার
কচিরুদ্দীনের কোটি টাকার বাড়ি হয়েছে,
ভূমি অফিসের পিয়ন কালু মিয়ার বাড়িতে
এসি আর বিলাসবহুল মার্কেটে গোটা
দশেক দোকানের মালিক বনেছে!
কিনতু আসমা বিবির বাপের ঝুপড়ি ঘরে
কুপি জ্বলে না তেলের অভাবে!
তারপরেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,
স্বার্থের জন্য মানুষ রঙ বদল করেছে,
বেশভুষণে পরিবর্তন এনেছে!
অঘাট ঘাট হয়েছে!
গঙ্গাবাড়ির নমিতা দেবী অসহায়ত্ব দূর করতে,
নতুন বছরে ফাইভ পাস সার্টিফিকেট নিয়ে
জুতো ফ্যাক্টরীতে কাজ করার মনস্থির করেছে!
যেই যা বলুক, আপনার অবস্থার পরিবর্তন হলেও বিবির বাপ, নমিতা দেবী আর
নাছির মুন্সীর অবস্থার কোনো পরিবর্তন
নতুন বছরে আসবে, তার গ্যারান্টি কোথায়?