“মানবিকতা” শব্দটা কি কোনো পোশাকের নাম? বোধহয় তাই হবে।
বিশ্বায়ন,উষ্ণায়ণের সময়ে
বড্ড পাল্টেছে চেনা পুরোনো সেই দিন।
আজ মা,আর শিশু ভোলাতে পাথর সেদ্ধ করে না,
বেচে দেয় ক্রীতদাস বানাবে বলে।
বাপ আর অনটনে সংসার টানে না,
নেশায় বিভোর হয়ে মেরে ফেলে সন্তানকে।
বাঁচলো কেউ- কি মরলো, তাতে কার কি?
পকেটে পয়সা আনতে
বৌকে উলঙ্গ করে সবার সামনে,
“মোছ বলছি চোখের জল"এমন ধমকানি আসে।
রাতের অন্ধকারে হায়না লুকিয়ে আছে
আর কেউ কেউ বুদ্ধিজীবী বনেছে,
ধর্ষিতাকে নিয়ে কবিতা লিখে,কেউ
কেউ বা রোমাঞ্চকর প্রবন্ধ।
ধর্ষন না হলে,অভাবে গলায় ফাঁস না পড়লে
মানবিকতার ফেরিওয়ালারা
কী ফেরী করবে?
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল বিবস্ত্রা না হলে
লাখো দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ উল্লাসে
বুদ্ধিজীবীরা কী করে দেবে মানবিক স্লোগান?
তারা কবিতা লিখবে,গান আঁকবে,ছবিতে দেখাবে শিশ্নের পৌরুষত্ব।
আমরা কেবল প্রতিবাদ লিখি কলম-খাতায়
দুই দ্বিগুনে চার
তারপর হেরে যাই বারবার
নিজেদের চৌখুপি বাস্তবতায়।