এখন আর কবিতা হয়না
পদ্যের পংক্তিরা সবলে কড়া নাড়ে
সদর দরজায়
সবিনয়ে বলি,আমি বাড়ী নেই।
মৃত বেড়ালের ঠান্ডা,ঠান্ডা হীম গায়ের মতো
দাড়ি,কমা,সেমিকোলন গুলোকে
সযত্নে মাটি চাঁপা দিই,যেন তা থেকে
না বের হয় অনুভুতিতে আঘাত লাগার মতো
সুতীব্র সুঘ্রাণ।
পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে
আমি লিখিনা বলে
গোলাপের পাপড়িতে কীটের দংশন
প্রিয়ার ঠোঁটের রং যায় পাল্টে,
প্রিয়তম মানুষটির চোখে দেখি অপাংক্তেয় দীর্ঘশ্বাস।
তবু আমার কবিতারা থমকে
আমি খাতার ভাগাড়ে জমা করে রাখি
কিছু অযাচিত ইতিহাস।