আমার একটা খেরো খাতা আছে
সেই ছেলেবেলায় যখন
ইস্কুলের নবীন মাস্টার মশায়
গ্রীবায় ছুঁয়েছিল আঙ্গুল,
তার নামটাই প্রথম লেখা হয়েছিলো খাতায়।
তারপর একে,একে পাড়ার বখাটে ছেলেটার শিষ পাশের বাড়ীর টেরি সিঁথি কাটা বালক
অসম বয়সী, মেজদার বন্ধু
আর বান্ধবীর বড় ভাই।
মোড়ের সাইকেল সারাইএর দোকানে
কালিঝু্লি মাখা কিশোরের মুখটা!
ইস্কুলে যাওয়ার পথে তার চোখের হাসিটা
আমার বুকে কাঁপন ধরাতো,
খাতার একসারি নীচের নামটা ছিলো তার।
ফের খাতায় কাটাকুটি,
আর ক্রমিক নম্বরে উঠানামা
ফের বয়সের দৌড়ঝাপ,নামতা তখন এক এক্কে এক ছাড়িয়ে ছুঁয়েছে বুকের আঙ্গিনা
খেরোখাতায় দীর্ঘায়িত,কেবল চাওয়ার চাহিদা।
এরপর এক শ্রাবন সন্ধ্যায় যখন দু-কূল ছাপিয়ে এলো বান,
আষাঢ়ের কালো গগনে যখন এলো
ঝলমলে সূর্যের প্রেম,
অবাক হয়ে দেখলাম তার নাম আমি কোথাও লিখিনি,তাকে লেখা হয়নি
সে ছিলো কেবলই আমার কষ্টের সর্বনাম।