নিঃসঙ্গ খুব নিঃসঙ্গতা আর
নিঃসঙ্গ ঐ দেয়াল ঘড়িটা আমার
ঘড়ির পাশেই ছোট্ট একটা ফোঁকর
তাতেই দেখি টিকটিকির সংসার।
দুঃখ সেখানেও যখন তখন হানে
ঐখানেতেও অভাব অনটন প্রবল
মাঝে মাঝে দেখি পুরুষ টিকটিকিটাকে
খাবারের খোঁজে দেয় ঘড়ির কাটায় ছোবল।
রমনীটার বুঝি রমনক্লান্ত আবেশ
আমার মতই অতৃপ্ত আশ্লেষ
পুরুষ ভাবে ঐটুকুতেই বেশ
ক্লান্ত করেছি,করেছি নিঃশেষ ।
একদিন দেখি মেয়ে টিকটিকিটা
আলতো হাটে বিষন্ন আর একা
বুঝতি পারি আসন্নতা আবার
সময় হয়েছে প্রেমভার বইবার।
আমার চোখটা পুরুষটাকেই খোঁজে
পুরুষটাও আমার তৃষ্ণা বোঝে
টিক টিক টিক জানান দেয় সে এসে
পুরুষজনিত ভাব তার উল্লাসে।
নারী টিকটিকি একলা ভীষণ তখন
গুছায় হয়তো সাধের সংসার
পুরুষটা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিক
সংসারে তাকে বড্ড দরকার।
শাসন করেছে শোষন ভালবেসে
বুঝিয়েছে হয়তো রাগ করে আর হেসে
শোন মেয়ে তুই,পুরুষ আমি যে তোর
একলা আমাকেই পূজবি জীবনভর।
অন্য পুরুষ ছুঁবিনা কক্ষনো
মন্দ মেয়ে বলবে সবাই জেনো
ক্লান্ত হলেও আমাতে করিস বাস
না হলে হবে সমূহ সর্বনাশ।
আমি তোর একমাত্র পুরুষ জানিস
অন্যদেরকে পরপুরুষ বলে মানিস
আমি শুনি আর, অবাক হয়ে ভাবি
টিকটিকিরও এ কেমনতরো দাবী!!!!