এক সময় বসন্তে রঞ্জিত হয় জীবনের মহীমা,
সে সময় স্বপ্নের ডানা হয় কতকটা।
কখনও পাখি, কখনও ভ্রমর, কখনও ঐ ধ্রুব নীল আকাশ,
অজানায়, অধরা এক নিঃসীমা।
একটি চোখের পলক,
তিমির রাত্রি পেরিয়ে বয়ে আনে ভোরের স্নিগ্ধ সলক,
একটু হাসি, নিরং
তবুও খুব সহজে,
আলপনা এঁকে যায় দিবারাত্রি নানান সাজে।
গোধূলির স্বাধীন চেতনাতলে,
নির্বাক অসাড় হৃদয়টাই;
এক সময় হয়ে যায় ভাসমান উচ্ছ্বাস।
নিমগ্ন রাতটা কেড়ে নেয়,
কি নীরবে, তন্দ্রার ছলে কোমলপ্রাণ বিশ্বাস।
যেই চোখে স্বপন ভাসে মেঘের মত দিবারাতি,
অরণ্যের মরা কাষ্ঠে যে প্রেম জ্বালায় সন্ধ্যাবাতি,
নীড় ভোলা পাখিদের মত;
সে প্রেম যে কখন হয়ে যায় একলা,
সুকৌশলে। স্বপ্ন ভুলে মন,
তবু হৃদয় তখনো দিয়ে যায় দোলা।
প্রাণে জাগে উদ্দাম বসন্ত,
রাত্রি জাগে বেদনার আর্তনাদে,
একলা প্রেম জ্বলে বিদীর্ণ জীর্ণ ক্ষতক শতশত।
যে প্রেম চলে যায় দুয়ারের প্রদ্বীপ ফেলে, অবহেলে
খুব সহজেই প্রাপ্তি যা তাতে কি মন ভোলে ?
কদিনিবা হলো বল,
তাতেই কামুক প্রেম হয়ে গেল ক্ষান্ত ?
জীবন টা সীমাহীন,
প্রেমও চিরন্তন, নির্মল, নিরঞ্জন ;
যা হয়েছে, শুধু আবেগ আর কামনার মিলন।
এই অবেলায় কেন বাজাও ঘুঙুর ?
না আছে প্রেম, না আছে সুধা, কিবা আছে সুর;
তুমি আর আমি, আর আছে ঐ দূর, বহুদূর।
সে প্রেমের টানে কামনা কেন জাগে আজ আনমনে,
এক ফোঁটা জলের আভা ভাসে কেন ঐ দুটি নয়নে?
যে সময় স্বপ্নের ডানা হত শতকটা,
কখনও পাখি, কখনও ভ্রমর, কখনও ঐ ধ্রুব নীল আকাশ,
অজানায়, অধরা এক নিঃসীমা।
তন্দ্রা ভোলা ভোর খুঁজেছে যেই তোমায়,
সে ভোর তোমায় পেরিয়েছে বহুবার,
পেরিয়েছে তোমার প্রেম, পেরিয়েছে তার শতক সীমা।



নদ্দা, বারিধারা
১৪.০৬.২১