বিশ্বাস অতীব মান্যবর, সে
এক নীরব ঘাতক যাযাবর।
বিশ্বাসের স্বস্তিতে যে বন্ধুবর
সদা বাস করে হৃদয় কোঠরে,
আসন্ন স্বার্থ হেরি চমকিত করি
সরল বিশ্বাসী পুঁজির হাল ধরি,
দৃষ্টির আবডালে বসি থাকি
কুঠার মারে যতনে মস্তকোপরি।।
বিশ্বাস এক যাযাবর, অতীব
প্রগাঢ়ময় নিঃশব্দ ঘাতক।
নীরবে বুনে যায় সে মিথ্যার জাল,
অবিরাম হাতে নিয়ে সত্যের ঢাল।
সতী নারীর যে প্রেম শৃঙ্খলাবদ্ধ
দর্পণেই মুছে যায় যে শুভ্র হাতের ছোঁয়া;
সে শৃঙ্খল, সে ছোঁয়া, সে প্রেম
উপেক্ষিত হয় মায়ের অনুশাসন।
বিশ্বাসের কৌশলী অজুহাতে ধরাপরে
রাতের অভিসারে প্রেমিকের ঠোঁটে
নির্দ্বিধায় করে যায় নিষিদ্ধ লেহন ।।