উনিশ শতকে ঘটে সূচনা উপন্যাস লেখার,
১৮৫৮ সালের প্যারীচাঁদ মিত্রের "আলালের দুলাল" সৌভাগ্য হয়নি দেখার।
উনিশ শতকের প্রথম ষাট বছরে পাঠক ওঠে গড়ে,
তখন উপন্যাসিকের আগমনকে ক্রমশ অনিবার্য করে।

বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম সার্থক উপন্যাসে ছড়িয়ে দেন ত্রাস,
১৮৬৫ "দুর্গেশনন্দিনী" তার প্রথম উপন্যাস।
সর্বপ্রথম তিনি শৈল্পিক এবং কৌশল উপন্যাসে সচেতন হন,
অতঃপর তিনি অভাবনীয় চমৎকার ঘটান।
"বিষবৃক্ষ" ও "কৃষ্ণকান্তের উইল" উপন্যাসে বাস্তবতা এনে দেন,
ব্যাক্তি ও পারিবারিক সমস্যা সংকটের কাহিনি উপন্যাস দু'টিতে উপস্থাপন করেন।
উপন্যাসের বিকাশের পথ বঙ্কিমচন্দ্র করেছেন উন্মোচন,
বিলাসী জীবন ধ্রুব তাঁরা, তার সমাপ্তিরক্ষণ।

উপন্যাসের প্রধান কর্তা, প্রধান শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
তিনি উপন্যাসের সম্রাট আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল বহুদূর।
"চোখের বালি" "ঘরে বাইরে" তাক লাগানো কাহিনি,
উদার মানবতার জীবনাদর্শে ছিল তাহার চাহনি।

বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে জনপ্রিয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,
তার উপন্যাসে বাঙালির অন্তরঙ্গ ভাষার শুরু হয় অধ্যায়।
নারীর অসহায়তার করুন চিত্রে তিনি অদ্বিতীয়,
কুসংস্কার ও বাস্তবতায়  তার কলম কোমলপ্রিয়।

রবীন্দ্রনাথ ও  শরৎচন্দ্রের সময়ে বাস্তবতার দ্রুত পরিবর্তন হয়,
তার পর পরই পাই অনেক লেখকের পরিচয়।

বিশ শতকের প্রথমে আবির্ভাবে কাজী নজরুল,
উপন্যাসের তীব্র লেখায় করেছেন ব্যাকুল।
শত-শত, হাজার-হাজার, কত শত লেখক দুর্বার,
সৃষ্টি করেছে উপন্যাস, সৃষ্টি করবে বারংবার।

নতুন উদ্দীপনার সাথে সাথে কাহিনির ছড়াছড়ি,
উপন্যাস হোক ভালোলাগার, কবু নয় বাড়াবাড়ি।।