ভালোবাসার অভিব্যক্তি (expression of love).Valobasar Ovibekti
আমি তোমাকে ভালোবাসি, তোমাকে শুধু তোমাকে।তুমি আমাকে ভালোবাসো বা না বাসো। ভালবাসার অভিরাম স্পর্শ কখনও থমকে দেয়। তাই বলে ভেবনা প্রাচীরের দেয়াল খসে গেছে।দেয়াল হোক সাদামাটা নিস্তব্ধ আধার, কেহ কেহ বসবাস করবে।রঙিন করে সাজাবে মনের মতো রঙে।ভালোবেসে আলপনা এঁকে নিবে।দু-একটা ফুলদানী সাজাবে হয়তো।দেয়ালে বিবর্ণ ধুসর ধূলোকণা জমবে তাতে কি দেয়ালের আপন মহিমা ক্ষুন্ন হবে।মাকড়সা এলোমেলো জাল বুনবে,দু-এক জোড়া কেলে বাদুর উড়োউড়ি করে,ঘর বাদবে ভালোবাসার।দেয়ালে ভালোবাসার মানুষ তাতে রঙে সাজিয়ে নিবে,আপন প্রদীপ জ্বেলে দিবে,হয়তো তখনও দু-একটা মাকড়সা থাকবে,জাল বুনবে ভালোবাসার।রূপ-রস-গন্ধহীন এক টুকরো কাগজে না লিখলে সাদা থেকে যায়,হয়তো অনাদরে অবহেলায় পচেগলে পরে।আর কবি-লেখক অভিব্যক্তি লিখলে হয়ে যায় কাব্য-উপন্যাস,আইনজীবী লিখলে হয়ে যায় সংবিধান,বেন্ডার লিখলে হয় দলিল,প্রেমিক লিখলে হয় প্রেমপত্র।অনাগত কাল চলবে এ খেলা।ভালোবাসার কোন সংঞ্জা নেই,ভালোবাসার কোন রঙ নেই,ভালোবাসার কোন সুগন্ধ নেই,আছে শুধু উদারতা,বর্ণহীন,গন্ধহীন মানব মায়া।বকুল ফুলের জাজালো মিষ্ট সু-ঘ্রাণে পথিক হয় মুগ্ধ।প্রেমিক ভালোবেসে প্রেয়সীকে গলায় মালা পড়ায়,কখনও প্রেমিক প্রেয়সী গলায় পড়ে অথবা ছূড়ে পেলে দেয়,তাতে বকুলের কি আসে যায় বকুল স্ব-মহিমায় নিজেকে আকড়ে দরে আপন আলোকিত করে।রাতের বুকে আধার নামে তাতে জোনাকী আসে,চাঁদ উঠে,তারা জ্বলে,কখনও গভীর আধারে নিমর্জিত হয় তাতে কি রাতের অপন পরিচয়ে ভাটা পড়ে।রাত আসবেই চিরায়িত নিয়মে।ভোরের আলো ঝলমলে দীপ্ত সূর্য উদিত হবে কেহ জাগলো কি জাগলোনা।ভালোবাসার লাল গোলাপ ফুটবে,কেহ ভালোবাসলো কি বাসলো না কেহ সুবাস নিল কি নিলনা।আমি তোমাকে ভালোবাসি, তোমার আভিজাত্য-রূপ লাবন্য দেখে নয়,তোমাকে বড় বেশী ভালোবাসি বলে।
কবিতাটি ৪৩০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ১৬/০৩/২০১৯, ০৪:০৩ মি: