উল্লাসের নগরী
__শান্ত চৌধুরী
এই নগরীর প্রতিটি প্রহরে উল্লাস ধ্বনি হয়, কেউ জেগে থাকে নির্ঘুম, কেউ আত্মকলহ ডুবে।ঈশ্বরের বন্দনায় কিছু মানুষ মসজিদ, মন্দির, পেগডায় ছুটে। নিরবে কিছু মানুষ লুটে নেয় সভ্যতার প্রাচীর।এক একটি মিনিট, এক একটি ঘণ্টা, এক একটি দিন, কিলোমিটারের মতো দুরন্ত তৈরি করে, কিছু মানুষকে নিঃস্ব করে।অতল গহ্বরে নোঙ্গর করে উষ্ণতা, শীতল শরীর মিথ্যে সান্তনায় উঁকি দেয় বাস্তবতায়। অযুত লক্ষ স্বপ্নের পরিসমাপ্তি সূর্য ডুবে নির্মমতায়, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। নগরীর পথে হেঁটে হেঁটে জলন্ত সিগারেট থেকে সৃষ্টি হয় বিরহ, গাঁজা, আপিম, ইয়াবা, মদ, নারী, সব কিছুতেই চোখের নিয়ন্ত্রণ। পথচারী থেকে মহাজন,প্রতিপত্তি, চারদিকে টাকার রাজত্বে লুটেরা অধিপতি। কেউ উল্লাস করে বিরহে, কেউ উল্লাস করে নগ্নতায়, সভ্যতা হারায় নির্মম ধূসর ছাঁয়ায়। আর নগরীর বিরহে জমা হয় নতুন অধিপতি, নিয়ন্ত্রণ প্রভুত্বের দাসত্ব। কত মৃত্যু মিছিল হলে তুমি সভ্যতা ফিরিয়ে দিবে? কত অন্ধকারের অন্তরঙ্গে তোমার মিতালি হলে তুমি আলোর মিছিল হবে? কত নির্মমতার মিছিলে ডুবে তুমি ফিরিয়ে দিবে নাগরিকত্ব। আমি নগরীর পথে হেঁটে হেঁটে সভ্য সমাজ, সুসজ্জিত বাগান বিলাস আর মানবতা, ভ্রাতৃত্ব খুঁজিছি।অথচ নগরীর আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে নগ্নতা, মাদকতা, বিরহের এক অলিখিত কাব্যের বাস্তবতা।