যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে র’ব—অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে
কাঁঠাল গাছের তলে হয়তো বা ধলেশ্বরী চিলাইয়ের পাশে—
দিনমানে কোনো মুখ হয়তো সে শ্মশানের কাছে নাহি আসে—
তবুও কাঁঠাল জাম বাংলার—তাহাদের ছায়া যে পড়িছে
আমার বুকের ’পরে—আমার মুখের ’পরে নীরবে ঝরিছে
খয়েরী অশথপাতা—বঁইচি শেয়ালকাঁটা আমার এ দেহ ভালোবাসে,
নিবিড় হয়েছে তাই আমার চিতার ছাইয়ে—বাংলার ঘাসে
গভীর ঘাসের গুচ্ছে র’য়েছি ঘুমায়ে আমি,—নক্ষত্র নড়িছে
আকাশের থেকে দূর—আরো দূর—আরো দূর—নির্জন আকাশে
বাংলার—তারপর অকারণ ঘুমে আমি প’ড়ে যাই ঢুলে;
আবার যখন জাগি, আমার শ্মশানচিতা বাংলার ঘাসে
ভ’রে আছে, চেয়ে দেখি,—বাসকের গন্ধ পাই—আনারস ফুলে
ভোমরা উড়িছে, শুনি—গুব্রে পোকার ক্ষীণ গুমরানি ভাসিছে বাতাসে
রোদের দুপুর ভ’রে—শুনি আমি; ইহারা আমারে ভালোবাসে—