খামারের একপাশে গান করে নিজ ভাষে
গোটা কয়েক মানুষজন ব্যস্ত ,
পাকিয়ে বিচুলী নাড়া এক পাশে টাল করা
নিবিষ্টতায় কাজ করে সমস্ত ।
পেতে দিলো সার ধ'রে থাকে থাকে মাপ ক'রে
একে একে থানইঁট সারি সারি ,
তারপরে বাঁশবাতা মাচা মত করে পাতা
আউরের শয্যা বেশ চারধারি ।
এর 'পরে পেতে বোরা ধান ঢালে ধামা ভরা
নাড়ার রশিটা ঘোরে বেড় দিয়ে ,
ভিতরে খড়ের ফাঁসে শস্য ঢেলে আশ পাশে
বাহির থেকে আঁটছে রশি গিয়ে ।
যত তাতে ঢালে ধান অন্দরে একই মান
বাইরেও ওঠে বিচুলীর রশি ,
যত দেখা মন ভাবে কেমনে এ ধান রবে
ভিতর বাইরে আঁটছে কি কষি !!
প্রাতঃকালে লেগে কাজে আটহাতে ভাড়া সাজে
খড়ের আঁটি চাপে পরের-পর ,
সূর্য প্রায় অস্তাচলে দিগন্তে পড়ছে ঢলে
শির 'পরে পড়ানো এক টোপর ।
ধানের মাতা পোয়ালে আড়াল করে অঞ্চলে
রোদ জল ঝড়ে রক্ষা করে ধান ,
মরায়ের ইতিকথা শস্য থাকে যথা যথা
চাষীর খামারে বাড়ায় তা মান ॥