টুটে গেছে কবেই নাড়ির বাঁধন ঘুচে গেছে বন্ধন
পোড়ো বাড়িটাতে এখন শ্বাপদের বাস বন্ধ রন্ধন ,
তবু মন টানে সোঁদা মাটি ঘ্রাণে এমনই দেশের টান
সব হারানোর যন্ত্রণা বুকে নেই বাপের ঘরের মান ।
একা একা থাকে নির্জনস্থানে আঁধার নামে কূলে
সাঁজের প্রদীপ জ্বালে না কেউ শঙ্খ বাজে না ভুলে ,
মনে পড়ে সব পুরোনো কথা বিশাল সে আঙিনা
ছুটোছুটি আর হুড়োহুড়ি করা কত হাসি কান্না ।
আকাশ ঘিরে মেঘের মেলা কালবোশেখীর ঝড়
আম কুড়ানোর বড্ড হিড়িক সাপ গেল সড়সড় ,
উথাল পাথাল পুকুর জল ঘোলা জলে তোলপাড়
ডুবসাঁতারে অনেকটা দূর সাঁতরে এপাড় ওপাড় ।
বড় হেঁসেলটাতে বড় বড় হাড়ি কড়াই ডাণ্ডিওলা
যেন ভোজবাড়ি পাত পরা কত ব্যস্ত রান্নাশালা ,
অন্তরে আজ চিতার দহন জ্বলেপুড়ে খাক হয়
হারিয়ে গেছে সে সব দিন স্মৃতি হয়ে শুধু রয় ।
ভুলে গেছি কবে পিতামাতার স্নেহ জীবন নগন্য
ভাইবোন আর সংসার ছাড়া বাপের ভিটেটা শূণ্য ,
স্মৃতির মুকুরে অতীত দিনগুলো বেদনার হিল্লোল
জন্মভূমির অনবদ্য টানে ঝাপসা চোখের কোল ॥