রত্নগর্ভা মাতা ছিলেন ভগবতী দেবী
রত্ন সন্তানের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ,
বীরসিংহ গ্রামের ছেলে মোদের ঈশ্বরচন্দ্র
রচেছেন সেযুগে এক উজ্জ্বল অধ্যায় ।
দরিদ্র ঘরের ছেলের তুখর মেধা
সংস্কৃত শাস্ত্রে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ,
মাইল ফলক দেখে চিনেছেন সংখ্যা
অঙ্কতেও ছিল তাঁর অপার আধিপত্য ।
সমাজ সংস্কারক তিনি দীনের দরদী
স্ত্রীশিক্ষার জন্য শিক্ষার করেছেন প্রসার ,
হৃদয়ঙ্গম করেছিলেন নিজ অন্তর দিয়ে
নারীশিক্ষা বিনে সমাজ অচল অসাড় ।
সমাজের অন্তঃপুরে কাঁদে শৃঙ্খলিত কন্যারা
অকাল বৈধব্য জ্বালা বালিকা বয়সে ,
বাল্য বিধবার দুঃখে কাতর হিয়া
বিধবা বিবাহের পত্তন হয়নি আয়েসে ।
মাতৃভক্তির নজির অসীম জীবনী আলেখ্যে
মায়ের একনিষ্ঠ পুজারী বিদ্যার সাগর ,
বিদেশী বণিকের চাকরীতে দিয়ে ইস্তফা
হেলায় পেরিয়ে ছিলেন উত্তাল দামোদর ।
সমাজ সংষ্কার আর দূরদর্শীতার জ্ঞান
আজকের নারীকে দিয়েছে স্বকীয় মান ,
কঠিন শৃঙ্খল কেটে মুক্তবায়ে শ্বাস
বর্তমানে নারী দিচ্ছে তার যথার্থ প্রমাণ ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অসীম কৃপায়
আমরা করছি সবে বর্ণের ব্যবহার ,
স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের বোধ মনে জাগে
লেখাবলার ঊর্দ্ধে চিরনমস্য স্থান তার ॥