বেলাটা গড়ালেই সাজো সাজো ভাব
শাড়ি জামা প্রসাধনী বেশ পরিপাটি ,
মায়ের আঙুল ধ'রে গুটিগুটি পায়ে
হাঁটিহাঁটি চলে যেতাম চেনাশোনা বাটি ।
দাওয়াতে আসন দেবার কিবা ব্যস্ততা
সতরঞ্চি বিছিয়ে দিয়ে সাদর সম্ভাষণ ,
এসো বসো কত কথার আদানপ্রদান
ভীষণ আন্তরিক ছিল সেই আবাহন ।
তখন ছিল না ঘরে ঠাণ্ডামেশিন
তালপাতার হাতপাখা প্রতি ঘরে ঘরে ,
রকমারি মিষ্টির ছিল নাতো চল
ঘরোয়া খাবার আসতো রেকাবি ভরে ।
আতিথেয়তার কোনরকম ছিল না ত্রুটি
বাটি ভরা মুড়ি আর নারিকেলকোরা ,
অথবা রেকাবি জুড়ে নাড়ু নিমকি
ধূমায়িত দুধ-চায়ে কাপ প্লেট জোড়া ।
ছোটবেলার সে-সব দিন চোখের পাতায়
লোলুপ চোখেতে চাওয়া গুড়মুড়ি পানে ,
আনন্দ কি যে হতো মনের ভিতর
ঘুরেফিরে দিনগুলো বড় বেশী টানে ।
সোসাল মিডিয়াতেই হায় হ্যালো সারা
ফোনাফুনি করে চলে কুশল বাটাবাটি ,
যতটুকু ছিল তাও একেবারে হাওয়া
আক্ষেপ আর অবসাদের বসত পরিপাটি ।
এখানে ওখানে কতদিন হয়নিতো যাওয়া
ঘরবন্দী ছন্দহীন একঘেয়ে এক জীবন ,
আপন নিয়মে অতীত সেই সব-দিন
দিনগত পাপক্ষয়ে নিত্য কাল যাপন ॥