সদ্য জন্ম নেয়া একটা ছোট্ট বাচ্চাকে দেখেছি আমি
দেখেছি মুষ্টিবদ্ধ দুই হাত, আধবোজা চোখের চাহনি,
তিলতিল করে তার বেড়ে উঠা,দাঁতহীন মিষ্টি হাসি
অতি যতনে, কোল থেকে কোলে,ছোট্ট সোনামনি।
হাসতে শিখেছে,বসতে শিখেছে,শিখেছে কথাবলা
সারি সারি দাঁত ভরে গেছে মুখ,বুঝতে শিখেছে সব,
ছুটোছুটি আর হুড়োহুড়ি,মাতিয়ে রাখে সারা বাড়ি
বাড়ির সকলের নয়নের মনি,সকলের খুশির কলরব।
মায়ের কোল ছেড়ে, বিদ্যালয়ের শুরু হয়েছে যখন
শিশু থেকে শৈশব হলো শুরু,শুরু হলো পড়া লেখা,
নিজের থেকে ওজনে ভারি,বই খাতার ব্যাগ কাধে
পড়ার চাপে হলোনা আর, শৈশবে পড়ে থাকা।
শৈশব ছেড়ে কৈশোর জীবন তবুও কাটছে ভালো
শারীরিক আর মানষিক বিকাশ,হয়েছে বেশ তার,
চোখে রঙিন লাগে যা দেখে তাই,রঙিন লাগে পৃথিবী
অসাধ্য কাজ সবই সে পারে,কিছু তার নেই হারাবার।
কৈশোর থেকে অনেক দুরে, দিয়েছে পাড়ি তারুণ্যের
সুন্দর একটা পরিবার বাবা মা ছোট ভাই বোনের ঘর,
যৌবনে পা দিয়েছে তরুন,নিয়েছে কাঁধে দায়িত্ব তুলে
বিয়ে করে সংসারী হয়েছে ,বন্ধু বান্ধব হয়েছে পর।
কদিন পরে নতুন শিশুর আগমন,তাকে ঘিরেই সব
নিজের কথা ভাবে না আর সেই যুবক নর নারী,
সংসার আর বাচ্চা পালন,শুধু ওদের ভালো থাকা
যুবক এখন ক্লান্ত বড়ো,সেই দায়িত্ব পালনকারী।
কাজ করতে এখন লাগেনা ভালো,চাই একটু অবসর
বাচ্চারা এখন আর ছোট নেই,হয়েছে অনেক জ্ঞানী,
নিজেদের ভালো ওরা নিজেরাই বুঝতে শিখেছে
ওদেরকে  এখন বার্ধক্যে এসে দিচ্ছে হাতছানি।
চোখের দৃষ্টি গেছে কমে,ক্ষীন হয়েছে ওদের দেহ
আগের মত হাটা চলা করার শক্তি পায়না তাই,
লাঠি হাতে চলে,দুর্বল দুটি পায়ে,শিশুকালের মত
এখন ওদের কেউ ভালোবাসে না,তবুও ওরা চাই।