খোলা চিঠি

লিংকন


নীলাঞ্জনা --
              একদিনের দেখায় বড় ভালোবেসেছিলে আমায়। আমার হাসি, আমার লজ্জা পাওয়া, আমার কথা বলা, সবই  মুগ্ধ করেছিলো তোমায়। দিন গড়াতে থাকে দিনের নিয়মে, সাথে ঘনিভুত হতে থাকে আমাদের সম্পর্ক।
         কথা হতো প্রায়ই, সময়ে অসময়ে। আমিও কেমন জানি একটু একটু করে তোমায় ভালোবেসে ফেলেছিলাম, পলিমাটি যেমন শস্যক্ষেত  উর্বর করে, তেমনি একটু একটু করে আমার হৃদয় মন্দিরে তোমার নিঃশব্দ পদচারণায় মুখরিত ছিলো প্রতিক্ষণ , তৈরী হয়েছিলো প্রেমের বাগান, আর সে বাগানের মালী হয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলাম।
কখন যে ভালোবেসে ফেলেছি। কখন যে আমার একটা অংশ হয়ে গেছো, ভালো লাগা, খারাপ লাগাগুলো তোমায় ঘিরে তৈরী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। সকালগুলো যে কখন তোমায় দিয়েছি রাত্রিগুলোসহ তোমার অবহেলায় তা বুঝতে পেলাম।
             হ্যাঁ, তুমি একদিন ডেকেছিলে ক্ষণিক সময়ের জন্য , হাজারো ব্যস্ততার মাঝে সময় করেছিলে, নিজেকে সাজিয়ে ছিলে আমার জন্য।
অথচ কি দূর্ভাগা আমি, সেদিন আসতেই পারিনি। কেনো পারিনি বারবার তুমি জানতে চেয়েছো, বলেছিলাম সময় পাইনি। তুমি বলেছিলে অপমান করেছি তোমায়।
জানো নীলাঞ্জনা,
কেনো আসতে পারিনি সেদিন ? তোমায় খুব ভালোবেসেছি বলে। ক্ষণিক কালের দেখায় হয়তো তৃপ্তিবোধ হতো, হতো চার চোখের মিলন, হয়তো ভালোবাসার টানে কথা হতো অনেক।
কিন্তু তারপর, আবার সেই না দেখে থাকা, তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছেটা হয়তো প্রবল হতো, পারতাম না আমি, তোমায় না দেখে থাকতে,  তাই ইচ্ছেটাকে দমন করতে   আসতে পারিনি সেদিন। খুব কষ্ট হয়েছিলো আমার, বড় শূন্যতার মাঝে ছিলাম আমি। জানি তুমিও ভীষন কষ্ট পেয়েছো।

নীলাঞ্জনা, সেদিনের সেই না আসাটাকে ক্ষমা করতে পারনি। তাইতো বারবার তোমার কাছে যখনি ছুটে আসি ভালোবাসার টানে, অবহেলা আর কাজের ছুতোই বলে চলে যাও তুমি। তোমার অবহেলা যে কতটুকু কষ্ট দেয় আমায়, যদি কখনও পেতে, তবেই বুঝতে।

দেখে নিও আর কখনো বিরক্ত করতে আসবো না তোমায়, তোমার দরজায় আর করা নাড়বো না কোনদিন।
কোনদিন বলবো না, একমুঠো ভালোবাসা দাও, কিংবা দাও তোমার একটু নিঃশ্বাস, যে নিঃশ্বাসে বেঁচে উঠবো আমি।
ভালো থেকো নীলাঞ্জনা, ভালো থেকো তুমি।