আমি কবি নই,
আমার, কবি হওয়ার সাধ ছিলনা কখনো,
হয়তো মনের খেয়ালে কোন একদিন,
দাঁড়িয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ এর কিনারে!
ভেবেছিলাম এখানে শুধুই স্বর্গীয় সুখ আর
অপার সৌন্দর্যের হাতছানি!
শুধুই প্রিয়ার কালো চোখ আর
ভূবণ ভোলানো হাসি!
প্রিয়ার স্পর্শ আর হিমেল বাতাসের মাখামাখি!
শুধু চোখ তুলে তাকিয়েছি,
পৃথিবীর সব কদর্যতা,
ক্ষুধা, দারিদ্রতা, পরাধীনতা, যুদ্ধবিগ্রহ,
খুন, গুম, পাশবিকতা, ধর্মের ব্যবসা,,,
মানুষের মেকী রূপ,
সৌন্দর্যময় পৃথিবীর রং একে একে,
সবকিছু ধরা পড়ছিলো চোখে,,
আমি হতাশ হয়েছি,
ভেঙ্গে পড়েছি,
সৌন্দর্যের মাঝে কুটিলতা দেখে,
বিভৎস ভূলোকে গোলাপ কামিনীর গন্ধ ছাপিয়ে
মরা মানবিকতার দুর্গন্ধের ধোঁয়া শুকে,,
মাঝে মধ্যেই শুনি অনেক নামযাদা কবি
আত্মহত্যা করে, বিষন্নতায় ভোগে,
এমন কি পাগলের বেশে ঘুরেফিরে দিকেদিকে,,,
হয়তো পৃথিবীর নগ্নরূপ দেখে,
ঐ যে, কবিদের চোখে সব ধরা পরে ।
আমি কাপুরুষের মতো পালিয়ে এসেছি
কবি নামের সেই মহাসমুদ্রের তীর থেকে,
যেখানে আঁছড়ে পড়ে পৃথিবীর রূপ
সৌন্দর্যের চেয়ে অনেক বেশি শূণ্যতা নিয়ে,,,
হয়তো বলবে -- " ধিক্ তোরে "!
"মানুষের বেশে জন্ম নিস্ নি তুই,
নিয়েছিস্ কাপুরুষের বেশে "।
হয়তো তুমি তোমরা,
তোমরা সবাই ঠিক!
কিন্তু তোমরাই বলো -
--- " অমানুষের ভীরে আমি পুরুষ থাকি কেমন করে? "