হয়তো তোমরা বলবে আমায়,
এক রাষ্ট্রদোহী আমি,
হয়তো বা বলবে, কোন ভীনদেশী
এক দালাল আমি।
তবুও বলবো, কেননা আমার,
হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ,
যে যন্ত্রনা, গলাকাটা মানুষের মতো
ছটফট করছে,
তা বন্ধ করবো কেমন করে?
তাইতো আজ কষ্টগুলো, আক্ষেপগুলো,
প্রশ্ন হয়ে বেড়িয়ে আসে বারবার।
প্রতিদিন বিদ্যালয়গুলোতে গাওয়া হয়,
জাতীয় সংগীত -
" আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি "।
কিন্তু সত্যিই কি দেশকে ভালোবাসি ?
শহিদ দিবসে ফুলের বন্যা বয়ে যায়,
শহিদ মিনারে মিনারে।
দেখি স্বাধীনতা দিবস কিংবা
বিজয় দিবসে কতো আয়োজন।
দেশের গান, স্বাধীনতার গান, কত কি!
ওরাও তো গেয়েছিলো গান,
দিয়েছিলো ফুল শহিদ মিনারে,
স্মৃতিসৌধে, বঙ্গবন্ধুর মাজারে।
সবই কি দেশকে ভালোবেসে?
নাকি তা, দেশের সাথে প্রতারনা!
যদি প্রতারনাই হয়ে থাকে তবে,
বন্ধ করো জাতীয় সংগীত গাওয়া,
শহিদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া।
সেই সংগীত, সেই পুষ্পাঞ্জলি,
সেই স্বাধীনতার চেতনা,
তাদের বাঙ্গালি বানাতে পারেনি,
পারেনি মানুষ বানাতে।
শুধু বানিয়েছে কিছু দূর্নীতিবাজ অমানুষ।
ওরা তো টন খেতে অভ্যস্ত,
খেতে অভ্যস্ত বিধবা ভাতার টাকা,
ওরা পারে শেয়ার বাজার ধ্বংস করে,
রাতারাতি কোটিপতি হতে,
পারে রাষ্ট্রীয় কোষাগার,
আত্মসাৎ করতে,
পারে স্বর্নকে তামা বানাতে,
পারে কয়লার মতো দাহ্য পদার্থ
বাতাসে মিশিয়ে দিতে।
পারে রডের পরিবর্তে বাঁশ দিতে,
পারে খাদ্যে ভেঁজাল দিয়ে,
নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করতে,
ওরা পারে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে,
জনগনের নাভিঃশ্বাস তুলতে।
গত ৪৭টি বছর পারেনি তা
জাতীয়তাবোধ তৈরী করতে,
পারেনি সত্যিকার দেশপ্রেমিক বানাতে,
বানাতে পারেনি খাঁটি বাঙ্গালি ।
তবে কেনো শুধু শুধু
জাতীয় সংগীত গাওয়া,
স্বাধীনতার চেতনা,
বুকে ধারন করা?
শিশুদের মিথ্যে ভালোবাসা শিখিয়ে,
ভবিষ্যতের অমানুষ তৈরী করা।