এ যেনো এক টুকরো বাংলাদেশের ভিতর,
আর এক টুকরো বাংলাদেশ।
এখানে সবুজের মাঝে,
রক্তক্ষরণ মজুরের!
বোবাকান্না আর হতাশা এখানে নিত্যকাল।
এখানে গনতন্ত্র নয়,
যেনো রাজতন্ত্র বিদ্যমান!
এখানে মানবতা নয়!
যেনো অমানবিকতাই সংবিধান!
এখানে চলে -
শোষণ আর শোষকের বিনির্মাণ।
চলে একদিকে রক্ত শোষন,
অন্যদিকের অট্টালিকা,
পাহাড় সমান!
কুয়াশা ঝরে!
বৃষ্টি পরে!
একই ঘরে -
গরু মানুষে গাদাগাদি করে মরে!
যুগের পর যুগ চলে যায়!
যায় শতাব্দীর পর শতাব্দী!
এখানে বৃটিশ শাসন যেনো,
আরো প্রকট হয়।
মাছ মাংস এখানে আকাশকুসুম কল্পনা!
একবেলা আধা পেট!
অন্যবেলা পানি!
রাতের বেলা ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ শুনায়
তাদের উপহাসের বাণী!
দৈনিক হাজিরা এদের একশত বিশ টাকা!
বৈশ্বিক এ যুগে -
হয় না চাল,
হয় না ডাল,
হয় না বেঁচে থাকা!
তবুও ঘানি টেনেই চলে জীবন নামের চাকা।
এখানে গরীব আরও গরীব হয়,
মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়!
জরাগ্রস্ত হয় সবুজ জীবন!
মানুষ নামের প্রাণীগুলো পরিবর্তিত হয় দাস নামের পতঙ্গে।
বৈষম্যে বৈষম্যে ভরা এখানের নিয়ম।
স্বাধীন দেশে এ কেমন আচরণ!
মুক্তিযুদ্ধের মানে কি তবে এই ছিলো!
আমরা সোনার বাংলা চাই!
চাই বৈষম্যহীন স্বাধীনতা!
চাই অর্থনৈতিক স্বাধিকার!
চাই মুক্ত ভূমিতে-
মুক্ত জীবন!