তুমি আমার উদ্দেশ্যে ভাড়া করা তুখোড়
কিছু লম্পট পাঠিয়েছিলে, ওরা রক্ত পিপাসু জন্তু।
ঝড়ের মতো ওরা তেড়ে এসেছিল আমার পানে,
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতে চেয়েছিল উন্মাদের মতো।
চুরি করে আমার মনের বাগানে হঠাৎ তোমার সভয়ে দেখা,
লোকালয় থেকে পালাতে চেয়েছি,
ভেবেছিলাম অতর্কিতে ঘরে বা বাইরে তুমি হানা দিবে,
সমস্ত শরীর ঠাণ্ডা হয়ে, নিরুত্তর চাদরের ভাঁজে ভাঁজে ভেসে উঠবে
নদির পানির মতো সপসপে ভেজা রক্ত,
যা কিনা বাসি নরম খবরের কাগজের নিচে
একদিন চাপা পরে আমি হারিয়ে যাব।
বিকলাঙ্গ পঙ্গু পিতৃ-মাতৃ হীন, তুমি নষ্ট ভাগ্য,
নিঃশব্দে পান করো তুমি পরাস্ত সকাল উদয়াস্ত দুপুর।
মৃত্যুগন্ধী মাতাল বাতাসে তোমার দীর্ঘশ্বাস
আমার বেঁচে থাকাকে থামিয়ে দিয়েছে,
মহাজনী কুটকাচালের ভাষায় মধ্যাহ্নে আহার করেছ আমার রক্ত।
তোমার প্রেমের দাহন দাহ বড় হাস্যকর অদ্ভুত ,
যাকে হৃদয়ে সহ তাকে অন্ধকারে কুপিয়ে কর একাকার।
মাটি কাঁপে,
আকাঙ্খার কঠিন আঁচড়ে সূর্য ম্লান, স্তব্ধ পটভূমি।
সভ্যতার মাঝরাতে হামাগুড়ি দিয়ে
পৌঁছে দিলে অন্তিম রেস্তোরায়।