অতঃপর নিঃশব্দ ব্যথায় আত্মার সকল কষ্ট
আত্মিক বন্ধন চিড়ে জলোমুক্তোর মালা হয়ে
কত শত ফোঁটা গাল বেয়ে
বানের জলে ভাসতে ভাসতে
এক সময় দীঘির জলে মিলিত হয়,
নিরুপায় কিছু স্মৃতি স্পর্শ করে মনের মেঘ কে।
তোমাকে পাবার ভাবনায় চোখে কাজল আঁকি,
দীর্ঘশ্বাস ভেদ করে, স্নিগ্ধ সুরভিতে ভরে উঠে মন।
জীবনের বাঁকে বাঁকে এঁকে দেয়া স্বপ্নগুলো
কুঁড়ে কুঁড়ে জ্বালিয়ে মারছে প্রতিনিয়ত,
লোকালয়ের ত্রিসীমানা ছেড়ে
বুকের আঁচলে লজ্জা ঢেকে
ব্যথাগুলো সব লুকিয়ে রাখি হৃদয় হাজতে।
পর্দা খুলে দেই, মনের পর্দা।
চিন্তাকে উপড়ে ফেলে,
আমার হৃদয় জানালার কপাট খুলে দিয়ে,
ফেলে দিতে চাই
নথীভুক্ত কত রাখা না রাখা শতাব্দীর অন্ধকার।
ফাঁকা মাঠে এক মুঠো জোনাকির আলো নিয়ে
অপেক্ষা করতে থাকি।
আমৃত্যু বসবাস করতে চাই
জাগিয়ে তোলা তোমার অস্তিত্বের দীর্ঘশ্বাসে।