ঘুমহীন রাত হলেও ভোর বেশ মধুর অনুভূত হয়,
নতুন উদ্যমে আমার আগমন তোমার শহরে হয়।
মাইগ্রেনের বিশেষ ক্রিয়ার আর্বিভাবটাও আসে,
গাড়ির হর্ন আর ট্রাফিকের ভীড়ে বসে থাকি লাল বাসে।

চলতে চলতে পৌঁছে যাই প্রিয় শাহবাগের মোড়ে,
স্বস্তি হয় সেই পনস আর থ্যালামাসের কোণে।

আঁখি খোঁজে তোমায় শতবার শতরূপে শতশত ভীড়ে,
খুঁজে পাই চেয়ার টেবিল ডেস্কের কোনো নীড়ে।

রিকশায় অবারিত গল্পকে আমি কোনো নাম দিতে চাইনা,
স্ট্যান্ডের ক্ষণিক মোহকেও আমি কোনো নাম দিতে চাইনা,
রাস্তা পারাপার কে কি কোনো নাম দেওয়া যায়?
নাহ,আমি কোনো নাম দিতে চাইনা।

লেকচারের ব্রেকে দর্শনকে আমি কোনো নাম দিতে চাইনা,
অকারণে উত্থিত অভিমান-ঈর্ষাকে আমি কোনো নাম দিতে চাইনা,
উন্মাদ আলোচনাকে কি কোনো নাম দেওয়া যায়?
নাহ,আমি কোনো নাম দিতে চাইনা।

আমাদের এই দূরত্বকে আমি কোনো নাম দিতে চাইনা,
তোমার গতির হঠাৎ পরিবর্তনকেও কোনো নাম দিতে চাইনা,
বসন্তে তোমার নতুন পথচলাকে কি কোনো নাম দেওয়া যায়?

আঁখি হারায় তোমায় শতবার শতরূপে শতশত ভীড়ে,
খুঁজতে চাইনা ইট-পাথরের দেয়াল বা দোলাই নদীর তীরে।


কি নাম দেওয়া যায়?
নাম দেওয়া যায়?
নাম কেনো?
কেনো?কেনো?