সকাল সকাল স্নানটি সেরে গভীর উচ্ছ্বাসে,
বলি,হে ভগবান!আজ আমরা রইব উপবাসে।
তিনি যে অন্তর্যামী
নিরব থেকে সব আবদার নিলেন যেন মানি।
গেলাম আমি রান্নাঘরে ,
এই বুঝি ভাই এলো ঘরে ।
রান্না করলাম চিকেন কষা সাথে বিরিয়ানি
চিলি পণির তাদের প্রিয় সেটাও আমি জানি।
ঠাকুর ঘরে দই মিষ্টি পুষ্প চন্দনেতে
সাজিয়ে পসরা,
অধীর আগ্রহে করি অপেক্ষা
এই বুঝি এলো ভাইয়েরা।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো ,
এলো সন্ধ্যাবেলা।
হতাশ মন উঠলো বলে
ভাইরা সব করছে অবহেলা।
বলতে বলতে যে কি হয়ে গেল ,
অলক্ষ্য থেকে যেন মধুর স্বর ভেসে এল।
বলে উঠলো,কি রে পাগলি!
ভাইরা তোর কেমন করে আসে??
ভুলেই গেলি তুই যে আছিস প্রবাসে।
হতভম্ব আমি চমকে উঠি হৃদয় পাথর হলো,
করুন সুরে করি মিনতি কিসের শাস্তি বলো??
পেলাম যেন তার আশ্বাসবাণী
ধূপ চন্দন প্রদীপ জ্বালি, নয়ন জলে দিই অন্জলি।
শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে প্রভুরে আরতি করি,
হে ভগবান আশিষে তাদের জীবন দিও গো ভরি।
বিণতি জানাই মাথা ঠুকে ঠুকে
সাজি ও জীবন অকল্পনীয় সুখে,
সব অমঙ্গল অশুভ শক্তি থাকে যেন সদা দূরে,
প্রবাসে ভাইফোঁটা করি সমাপণ এই মিনতি করে।