সেদিন রাতের আঁধারে নিরব হয়ে বসেছিলাম,
সামনে সুন্দর জলাদীঘি, তোমার কাঁধে মাথা,
চুপচাপ বসে মুহূর্তটা করছি উপভোগ সাক্ষী নিরবতা।
চাঁদের আলোটা দীঘির জলের সঙ্গে কইছে কথা,
তুমি আমার চোখে চুমু একে দিয়ে বললে বনলতা।
সুখের আবেশে টানলে আরো কাছে,
তোমার বুকে অজানা এক শান্তি আছে।
চাঁদের আবছা আলোয় গাছের পাতাগুলো দেখি,
এই নিরবতায় তোমার উষ্ণ আবেশ গায়ে মাখি।
দীঘির জ্বলে ঢেউ খেলে যায় চাঁদটাও একটু দোল খায়,
তোমারে যত কাছে পাই বেহায়া মন আরো কাছে চায়।
তুমি জীবনে শুকনো পাতার মচর মচর শব্দের মতো,
তুমি জীবনে এ দীঘির কলকল ধ্বনির মতো।
তোমার বুক, গলায়, ঠোঁটে ভালোবাসা আঁকি যত,
মনটা মানে না যত কাছে পাই চুমুর নেশায় মাতাল হতে চাই তত।
এ জন্ম তো শেষ হয়ে যাবে তবু এ মন ভরবে না,
তোমায় যত নিজের করে পাই তোমার নেশা আমাকে ছাড়বে না।
ভালোবাসা যত দিন যায় গভীর থেকে গভীর হয় চাঁদটা তার সাক্ষী,
তুমি এ জলাভূমির মতো আমার জীবনে এসে স্রোতহীন বয়ে যাও,
তুমি আমার জীবনের অচিন ময়ূরাক্ষী।